বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রত্যাবাসনের ঝুঁকিতে সিরীয় তরুণীরা

  •    
  • ১২ জুন, ২০২২ ১৭:২০

সিরীয় তরুণদের দেশে ফেরত পাঠানোর যে কারণ ডেনিশ সরকার দেখিয়েছে তা মেনে নেয়া যায়, যুক্তিও আছে। দেশে ফেরত পাঠানো হলে সাধারণত তাদের সেনাবাহিনীতে যোগদানে বাধ্য করা হবে৷ এ ক্ষেত্রে বয়স্ক এবং পরিবারগুলো অনেকটা নিরাপদ। আর এ কারণে ডেনমার্কের শরণার্থী নীতির মূল শিকার হচ্ছেন দেশটিতে আশ্রয় নেয়া তরুণী এবং একা থাকা নারীরা৷

ডেনমার্ক সরকারের একটি ‘বিতর্কিত’ নীতিতে ভুগতে যাচ্ছে সিরিয়ার শরণার্থী তরুণীরা। তাদের জোর করে সিরিয়ায় পাঠানোর গুঞ্জন উঠেছে জোরেশোরে

ডেনিস সরকারের বিবেচনায়, সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কসহ পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলো নিরাপদ৷ আর তাই ডেনমার্কে থাকা অনেক শরণার্থীকে সিরিয়াতে ফেরত পাঠানো যেতে পারে।

এ পদক্ষেপের ফলে গৃহযুদ্ধ থেকে বাঁচতে ডেনমার্কে আশ্রয় নেয়া সিরীয়রা এখন ধীরে ধীরে দেশে ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন, যেখানে অনেক এলাকায় এখনও তুমুল সংঘর্ষ চলছে

অধিকার সংগঠনগুলো এ পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করছে। ডেনিশ সরকারের বিরুদ্ধে তারা প্রত্যাবর্তনকারীদের বিপদে ফেলার অভিযোগ তুলেছে।

শরণার্থী ইস্যুতে ডেনমার্ক সরকার বিভিন্ন ধরনের নীতিমালা হাতে নিয়েছে৷ ইউরোপে বাইরে থেকে আসা শরণার্থীর সংখ্যা সীমিত করা, তাদের নির্দিষ্ট জায়গায় থাকতে দেয়া এবং তাদের দেশে ফেরত পাঠানো এসব নীতিমালার মধ্যে অন্যতম। এ ছাড়া আশ্রয়প্রার্থীদের আবেদন প্রক্রিয়া যাচাই-বাছাইয়ের জন্য তৃতীয় দেশ রুয়ান্ডার সঙ্গে চুক্তির পরিকল্পনাও ইতোমধ্যে সেরে ফেলা হয়েছে।

এই নীতিগুলো তরুণ, অবিবাহিত নারীদের জন্য করা হয়েছে বলে মনে করছেন সমালোচকরা।

ঝুঁকিতে তরুণীরা

সিরীয় তরুণদের দেশে ফেরত পাঠানোর যে কারণ ডেনিশ সরকার দেখিয়েছে তা মেনে নেয়া যায়, যুক্তিও আছে। দেশে ফেরত পাঠানো হলে সাধারণত তাদের সেনাবাহিনীতে যোগদানে বাধ্য করা হবে৷ এ ক্ষেত্রে বয়স্ক এবং পরিবারগুলো অনেকটা নিরাপদ। আর এ কারণে ডেনমার্কের শরণার্থী নীতিমালার মূল শিকার হচ্ছেন দেশটিতে আশ্রয় নেয়া তরুণী এবং একা থাকা নারীরা৷

সিরীয় তরুণী আয়া আবো দাহের, বয়স ২২৷ ডেনিশ সরকার যখন তাকে দেশে ফেরত পাঠানোর কথা জানায়, দাহের তখন কেবল হাইস্কুল শেষ হয়েছে। পাঁচ বছর আগে তিনি ডেনমার্কে এসেছিলেন৷ ডেনিশ ভাষায় সাবলীল। ফলে ডেনিশ সমাজে ভালোভাবেই মিশে যেতে পেরেছিলেন দাহের৷

স্কুলের প্রিন্সিপালের সঙ্গে দেখা করছেন আয়া আবো দাহের ৷ ছবি: সংগৃহীত

তাকে দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর এ নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। দ্য গার্ডিয়ানের একটি তথ্যচিত্রে সম্প্রতি তুলে ধরা হয় বিষয়টি।

দাহের বলেন, ‘প্রত্যাবাসনের আদেশ পাওয়ার পর এ বিষয়ে ডেনমার্কের শরণার্থী বিভাগে আবেদন করি। তখন বিষয়টি সবার নজরে আসে৷ আবেদনের পর ডেনমার্কে আরও দুই বছর থাকার অনুমতি পাই।

দাহের মতো আতঙ্কে আছেন সিরীয় তরুণী মরিয়ম আওয়াদ। ছবি: সংগৃহীত

‘নিজেকে ভাগ্যবান বলতে পারি। সবাই এমন সুযোগ পায় না। তারা আমাকে একটি রেসিডেন্সি পারমিট দিয়েছিল, কারণ আমার বিষয়টি মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে সিরিয়াতে কী বিপদ হতে পারে, সে বিষয়ে তারা আমার বক্তব্য বিশ্বাস করেনি৷ এটা ছিল খুব কষ্টের। আশা করি আর এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে না।’

শরণার্থী প্রশ্নে ডেনিশ সরকারের ‘পক্ষপাত’

সমালোচকরা তো সরাসরি ডেনিশ সরকারের বিরুদ্ধে বর্ণবাদের অভিযোগ তুলেছেন। তারা বলছেন, ইউক্রেন থেকে আসা আশ্রয়প্রার্থীদের যে সুবিধা দেয়া হচ্ছে, সিরীয়দের বেলায় তা হচ্ছে না

কেবল তা-ই না, ইউক্রেনের শরণার্থীদের দেশটির সোশ্যাল হাউজিংয়ে জায়গা করে দিতে নতুন নিয়মও করেছে ডেনিশ সরকার৷

অথচ এমন নিয়ম করার আগে ইউরোপের বাইরে থেকে আসা শরণার্থীরা কোন কোন এলাকায় থাকতে পারবে তা নির্দিষ্ট করতে একটি ডিক্রি জারি করেছিল ডেনমার্ক৷

এ ছাড়া গত বছর দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের নাগরিকদের আবাসিক এলাকায় ইউরোপের বাইরে থেকে আসা আশ্রয়প্রার্থীদের সংখ্যা ১০ বছরের মধ্যে যেন ৩০ শতাংশের বেশি না হয়, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে একটি বিল প্রস্তাব করেছিল

এ বিভাগের আরো খবর