ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কলা অনুষদভুক্ত ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ট্রান্সজেন্ডার এক শিক্ষার্থী।
ঢাবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী এই তথ্য জানিয়েছেন।
ভর্তিচ্ছু এ শিক্ষার্থী সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমার জানা মতে, এবারই প্রথম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় কোনো ট্রান্সজেন্ডার শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছেন।’
ভর্তির ফরম পূরণের সময় শিক্ষার্থীদের জেন্ডার নির্ণয়ের অপশন নিয়ে তিনি বলেন, “আবেদনের সময় ছাত্র বা ছাত্রী এ রকম একটু অপশন আছে। এটির উত্তর আমরা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নিই না। এটা আমরা সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ড থেকে নিই।
“বোর্ডে যেটা থাকে, সেটাই নিই। সেখানে আমরা এখন পর্যন্ত ‘আদার্স’ নামে কোনো অপশন পাইনি। এই শিক্ষার্থী হয়তো ছাত্র বা ছাত্রী কোনো অপশনে পরীক্ষা দিয়েছে।”
ট্রান্সজেন্ডার শিক্ষার্থীর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিয়ে প্রক্টর বলেন, ‘এই শিক্ষার্থী যদি চান্স পায়, তাহলে এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটা বড় অগ্রগতি। আশা করি সে ভালো করবে।
‘সে চান্স পেলে আমরা খুশি হব। সে যদি চান্স পায়, তাকে কোন হলে দেব, সেটা নিয়ে আমাদের এখন ভাবতে হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘সে রাস্তায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পয়সা চাইবে কেন? সে কেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পারবে না? এটা একটা মুভমেন্ট। এই মুভমেন্টকে এগিয়ে নিতে হবে।’
‘খ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষার প্রধান সমন্বয়ক এবং কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবদুল বাছির বলেন, ‘সে (ট্রান্সজেন্ডার শিক্ষার্থী) যদি সুযোগ পায়, তবে আমরা বেশি খুশি হব। তার সামনে এখন দুইটা চ্যালেঞ্জ আছে। একটি হলো এমসিকিউ, আরেকটি রিটেন। সে সব চ্যালেঞ্জ পার করে যদি ভর্তি হতে পারে, তাহলে এটি বিরাট অগ্রগতি।’
মেডিক্যাল সেন্টারে পরীক্ষা
বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মোহাম্মদ মর্তুজা মেডিক্যাল সেন্টারে জলবসন্তে আক্রান্ত এক নারী শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে অধ্যাপক আবদুল বাছির বলেন, ‘এই শিক্ষার্থী গতকাল (শুক্রবার) রাতে তার সমস্যার কথা জানিয়ে আমাদের কাছে আবেদন করেছে। আমরা অনুমোদন দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘তার কাগজপত্র দেখে আমাদের মনে হয়েছে, যে রুমে তার সিট পড়েছে, সেখানে সে গেলে একটা প্যানিক তৈরি হতে পারে। তাই আমরা তাকে আমাদের মেডিক্যাল সেন্টারে পরীক্ষা দেয়ার ব্যাপারে অনুমোদন দিয়েছি।
‘আমাদের একজন শিক্ষক সেখানে সার্বক্ষণিক ছিলেন। আর মেডিক্যাল সেন্টারের একজন অ্যাটেন্ডেন্ট ছিলেন। ফলে কোনো অসুবিধা হয়নি।’