যেসব প্রান্তিক নারীদের স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারে সামর্থ্য কম তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সহায়তা করতে রাজধানীর দুটি হাসপাতালকে এক হাজার পুনঃব্যবহারযোগ্য স্যানিটারি ন্যাপকিন দিয়েছে দারাজ বাংলাদেশ লিমিটেডের সামাজিক উদ্যোগ দারাজ কেয়ারস।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের গাইনোকোলজি বিভাগে বুধবার এ ন্যাপকিন বিতরণ করা হয়।
এই অনুদানের মাধ্যমে দারাজ প্রসব পরবর্তী সময়ে মাসিক স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখতে সচেতনতা বৃদ্ধি করবে।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে দারাজ।
অনুষ্ঠানে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক ও হেড অফ গাইনি অ্যান্ড ওবিএসটি ডা. নাজমা হক উপস্থিত ছিলেন ।
অন্যদিকে, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি ডিরেক্টর ও অধ্যাপক ডা. মো. সাইদুজ্জামান, হেড অফ দ্য ডিপার্টমেন্ট অফ গাইনি অ্যান্ড ওবিএসটি ডা. ফারহানা দেওয়ান এবং হেড অফ ইউনিট অফ গাইনি অ্যান্ড ওবিএসটি অধ্যাপক ডা. মুনিরা ফেরদৌসী।
দারাজের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন দারাজ বাংলাদেশের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার এ. এইচ. এম. হাসিনুল কুদ্দুস রুশো, লিগ্যাল ও পলিসি ডিরেক্টর ইসমাত জেরিন খান, সিএসআর অ্যান্ড সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ম্যানেজার আহসান জামিল এবং সিএসআর অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট বিভাগের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ মশিউর রহমান।
দারাজ এ এইচ এম হাসিনুল কুদ্দুস রুশো বলেন, ‘আমাদের সমাজে বেশিরভাগ নারী ও কিশোরীরা জনসমক্ষে মাসিকের স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে কথা বলতে দ্বিধাবোধ করেন। কিন্তু আমি মনে করি, মাসিকের স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে আলোচনার মধ্য দিয়ে একে একটি স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত করার এখনই সময়। উদ্ভাবনী উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করার জন্য দারাজ বাংলাদেশ ধারাবাহিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রি-ইউসেবল স্যানিটারি ন্যাপকিন দিয়ে সহায়তার মাধ্যমে দারাজ আরেকটি কার্যকরী উদ্যোগ নিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও আমাদের এ কর্মসূচি চলবে। এর ফলে সুবিধাবঞ্চিত নারীরা মাসিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পারবেন এবং এ বিষয়টিকে ঘিরে প্রচলিত ট্যাবু ধীরে ধীরে হ্রাস পাবে।’