আফগানিস্তানের গজনি প্রদেশের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর হাজারা সম্প্রদায়ের ৯ জনকে হত্যার দায় তালেবান যোদ্ধাদের বলে দাবি করেছে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
সংস্থাটির নতুন এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে আল জাজিরার খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অ্যামনেস্টির প্রতিবেদন প্রকাশ হয় বৃহস্পতিবার, যাতে বর্ণনা আছে প্রত্যক্ষদর্শীদের। তারা জানান, গজনির মালিস্তান জেলার মুন্দারাখত গ্রামে গত ৪ থেকে ৬ জুলাইয়ের মধ্যে এসব হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।
আফগানিস্তানের তৃতীয় বৃহত্তম জনগোষ্ঠী হাজারা, যাদের বেশির ভাগই শিয়া মুসলমান। সুন্নি সংখ্যাগরিষ্ঠ আফগানিস্তানে দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্যের শিকার তারা। অতীতেও হাজারাদের নির্যাতন করেছে তালেবান।
অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে বলা হয়, ৯ জনের মধ্যে ছয়জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তিনজন নিহত হয় নির্যাতনে, যাদের মধ্যে একজনের গলায় ওড়না প্যাঁচানো ছিল। তার হাত দুটি ছিল কাটা।
গত ১৫ আগস্ট কাবুলে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ দখলের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান। এর আগে তারা একের পর এক প্রাদেশিক রাজধানী দখলে নেয়।
গজনি প্রদেশে ৩ জুলাই আফগান সরকারি বাহিনীর সঙ্গে তালেবানের তুমুল লড়াই শুরু হয়। সে সময়ের পরিস্থিতি বর্ণনা করে গ্রামবাসী অ্যামনেস্টিকে জানায়, তারা পাহাড়ে আশ্রয় নেয়।
ঘর থেকে পালানোর সময় ৩০টি পরিবারের হাতে খাবার খুবই কম ছিল। ৪ জুলাই বাড়িতে ফেরার পর পাঁচ পুরুষ ও চার নারী দেখেন, বাড়িঘর লুট হয়েছে। তালেবান যোদ্ধারা ওত পেতে ছিলেন তাদের হত্যার জন্য।