ভারতের প্রধান বিচারপতি পদে বসতে যাচ্ছেন বিভি নাগারত্ন নামের এক নারী। তিনি দায়িত্ব নেবেন ২০২৭ সালে।
নাগারত্নের নিয়োগ ভারতের বিচার বিভাগের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
তার নিয়োগের মধ্য দিয়ে ৮০ বছরে প্রথম কোনো নারী প্রধান বিচারপতি পাবে ভারত।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, দেশের সর্বোচ্চ আদালতের পরবর্তী প্রধান হিসেবে ৯ বিচারকের নাম সুপারিশ করা হয়। সুপারিশ করেন বর্তমান প্রধান বিচারপতি এনভি রমনার নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্ট কলেজিয়াম।
সুপারিশকৃতদের তালিকায় বিভি নাগারত্নের সঙ্গে ছিল আরও দুই নারী বিচারপতি হিমা কোহি আর বেলা ত্রিবেদি।
বর্তমানে কর্ণাটক হাইকোর্টের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বিভি নাগারত্ন। ২০০৮ সালে কর্ণাটক উচ্চ আদালতের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। দুই বছর পর হন স্থায়ী বিচারক।
বাবা সাবেক প্রধান বিচারপতি ইএস ভেঙ্কটারামিয়ার পদাঙ্ক অনুসরণ করছেন নাগারত্ন। ১৯৮৯ সালের জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের প্রধান বিচারপতি ছিলেন ভেঙ্কটারামিয়া।
ভারতে প্রধান বিচারপতি পদে নারী নিয়োগের দাবি জোরালো হচ্ছিল বেশ কিছুদিন ধরেই।
চলতি বছরের এপ্রিলে সাবেক প্রধান বিচারপতি এসএ বোবড়ে অবসর গ্রহণের আগে বলেছিলেন, ‘দেশে একজন নারী প্রধান বিচারপতির নিয়োগ এখন শুধু সময়ের ব্যাপার।’
তিনি বলেন, ‘নারীদের স্বার্থ নিয়ে ভাবছি আমরা। সময় এসে গেছে এসব ভাবনাকে বাস্তব রূপ দেয়ার। অপেক্ষা শুধু ভালো প্রার্থীর।’
বর্তমান প্রধান বিচারপতি এনভি রমনাও জোর দিয়েছেন এ বিষয়ে।
সুপারিশকৃতদের তালিকায় থাকা পুরুষদের মধ্যে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল পিএস নরসীমাও। তাকেও সুপ্রিম কোর্টের বিচারক করা হবে।
পাঁচ সদস্যের কলেজিয়ামের করা এ তালিকায় থাকা বাকি বিচারকরা হলেন বিচারপতি অভয় শ্রীনিবাস ওকা, বিচারপতি বিক্রম নাথ, বিচারপতি জে কে মহেশ্বরী, বিচারপতি সিটি রবিকুমার ও বিচারপতি এমএম সুন্দরেশ।