যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বেশ কয়েকটি যৌন হয়রানির অভিযোগে দল থেকে চাপের মুখে পদত্যাগ করেছেন গভর্নর অ্যান্ড্রু কুওমো। তার স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন বর্তমান লেফটেন্যান্ট গভর্নর ক্যাথি হকুল।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, নিউইয়র্কের ২৩৩ বছরের ইতিহাসে প্রথম নারী গভর্নর পেতে যাচ্ছে অঙ্গরাজ্যটি।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, অনুসন্ধানে যৌন হয়রানির অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ হওয়ায় মঙ্গলবার পদত্যাগের ঘোষণা দেন কুওমো। যদিও অভিযোগ স্বীকার করেননি তিনি। ১৪ দিনের মধ্যে কার্যকর হবে তার এ পদত্যাগ।
গভর্নর হিসেবে কুওমোর মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালের ডিসেম্বরে। তার ক্ষমতা হস্তান্তরের পরিপ্রেক্ষিতে সে পর্যন্ত গভর্নরের দায়িত্ব পালন করবেন ৬২ বছর বয়সী হকুল।
সিএনবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, নিউইয়র্কের রাজনৈতিক অঙ্গনের বাইরে ক্যাথি হকুলের পরিচিতি তুলনামূলক কম; অন্তত অ্যান্ড্রু কুওমোর মতো ঘরে ঘরে পরিচিত তিনি একেবারেই নন।
২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন কুওমো ও তার উপপ্রধান হিসেবে হকুল।
সব ঠিক থাকলে দুই সপ্তাহের মধ্যে নিউইয়র্কের ৫৭তম গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নেবেন ক্যাথি হকুল।
এদিকে সরকারি কর্মীসহ ১১ জন নারীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠার পর থেকেই কুওমোকে পদত্যাগের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ তার দলের নেতারা।
পদত্যাগের ঘোষণায় কুওমো বলেন, ‘চলমান পরিস্থিতিতে দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর মাধ্যমে সহযোগিতা করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই আমার।
‘আমি ১১ জন নারীকে হয়রানি করেছি বলে যে খবর বেরিয়েছে, তাতে জনসাধারণের ক্ষুব্ধ হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু এসব অভিযোগ মিথ্যা। তবে আমার আচরণে কোনো নারী অপমানিত বোধ করলে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’
করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ন্ত্রণে সফলতার জন্য মাত্র এক বছর আগেই প্রশংসায় ভেসেছিলেন ৬৩ বছর বয়সী এই ডেমোক্র্যাট রাজনীতিক। সে সময় মহামারির দৈনিক তথ্য জানতে কুওমোর সংবাদ সম্মেলনের জন্য অপেক্ষা করতেন কোটি আমেরিকান। যদিও প্রাণহানির প্রকৃত সংখ্যা তিনি গোপন করেছেন বলেও রয়েছে অভিযোগ।
কেলেঙ্কারিতে বিদায় নেয়া নিউইয়র্কের তৃতীয় গভর্নর কুওমো। বাবা মারিও কুওমোর মতোই তিনিও ছিলেন নিউইয়র্কের তিনবারের গভর্নর।