ভারতের গ্রামাঞ্চলে কয়েক দশক ধরে যৌতুকের অর্থের পরিমাণ একই রকম রয়েছে বলে বিশ্বব্যাংকের গবেষণায় উঠে এসেছে।
সোমবার বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৬০ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ভারতের ১৭টি রাজ্যের গ্রামগুলোতে ৪০ হাজার বিয়ে নিয়ে গবেষণা করা হয়।
এতে দেখা যায়, ১৯৬১ সালে ভারতে যৌতুক বেআইনি ঘোষণা করা হলেও ওই ৪০ হাজারের মধ্যে ৯৫ শতাংশ বিয়েতেই যৌতুক দেয়া হয়েছিল।
যৌতুকের মূল্যের তথ্য গবেষণায় ব্যবহার করেন অর্থনীতিবিদ এস অনুক্রিতি, নিশিথ প্রকাশ ও সুনঘোহ কিয়োন।
সেখানে বর বা তার পরিবারকে দেয়া যৌতুকের মূল্যের সঙ্গে কনের পরিবারকে বরের পরিবারের দেয়া যৌতুকের মূল্যের তুলনা করা হয়।
দেখা যায়, খুব অল্প কয়েকটি বিয়ের ক্ষেত্রে কনের পরিবারকে বরের পরিবার বেশি যৌতুক দেয়।
গবেষকেরা তথ্য-উপাত্ত যাচাই করে দেখেন, গত কয়েক দশকে যৌতুকের গড় অর্থের পরিমাণ ‘লক্ষ্যণীয়ভাবে স্থিতিশীল’ ছিল।
১৯৭৫ সালের আগে ও ২০০০ সালের পর মুদ্রাস্ফীতির সময় ছাড়া যৌতুকের অর্থ একই রকম থাকে।
গবেষণায় দেখা যায়, বরের পরিবার বিয়েতে গড়ে প্রায় পাঁচ হাজার রুপি খরচ করে।
অন্যদিকে কনের পরিবার বরের পরিবারের চেয়ে সাত গুণ অর্থাৎ প্রায় ৩২ হাজার রুপি বেশি ব্যয় করে।
যৌতুককে সঞ্চয় ও আয়ের মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ২০০৭ সালে ভারতের গ্রামাঞ্চলে গড় যৌতুক বার্ষিক গৃহস্থালি সংক্রান্ত আয়ের ১৪ শতাংশের সমান ছিল।
বিশ্বব্যাংকের গবেষণা দলের অর্থনীতিবিদ ড. অনুক্রিতি বলেন, ‘গত কয়েক দশকে যৌতুক দেয়া কমতির দিকে। কারণ ভারতের গ্রামাঞ্চলে গড় আয় আগের চেয়ে বেড়েছে।’