এ বছরের মিস ইউএসএ প্রতিযোগিতায় প্রথমবারের মতো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছেন কাতালুনা এনরিকেজ নামে এক ট্রান্সজেন্ডার।
ফিলিপিনো বংশোদ্ভূত ২৭ বছর বয়সী এনরিকেজ নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় মিস ইউএসএ প্রতিযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলীয় নেভাদা অঙ্গরাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করবেন।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত রোববার নেভাদার লাস ভেগাস শহরে মিস নেভাদা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিজয়ী হয়ে মিস নেভাদা খেতাব অর্জন করেন এনরিকেজ।
জয়ের পর ইনস্টাগ্রামে ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায়ের উদ্দেশে এনরিকেজ বলেন, ‘আমার সম্প্রদায় সব সময় আমার হৃদয়ে থাকবে। আমার জয় মানে আমার সম্প্রদায়ের জয়। আমরা ইতিহাস নির্মাণ করেছি।’
২০১৬ সালে ট্রান্সজেন্ডার সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া শুরু করেন এনরিকেজ। গত বছর প্রথম সিসজেন্ডার প্রতিযোগিতায় নাম লেখান তিনি।
মিস নেভাদা সুন্দরী প্রতিযোগিতায় এনরিকেজ যে পোশাক পরেছিলেন, তা নিজেই নকশা করেন তিনি। পোশাকটির সেলাইও তার।
ওই প্রতিযোগিতায় জীবনে হয়রানি ও সহিংসতার শিকার হওয়ার কথা বিচারকদের সামনে তুলে ধরেন এই তরুণী।
নেভাদাভিত্তিক পত্রিকা লাস ভেগাস রিভিউ-জার্নালকে এনরিকেজ বলেন, ‘রোববারের প্রতিযোগিতায় বিচারকদের আমি বলেছিলাম, ট্রান্সজেন্ডার ও অশ্বেতাঙ্গ নারী হওয়ায় শারীরিক ও যৌন নির্যাতন সহ্য করতে হয় আমাকে।
‘আমি সেই সবকিছুরই প্রতীক, যা নিয়ে এ দেশে তেমন একটা আলোচনা হয় না।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের কথার গুরুত্ব রয়েছে। যাদের কথা সবার কানে সব সময় পৌঁছায় না, সেসব শোনানোর সুযোগের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করি।’
ট্রান্সজেন্ডার নারীদের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের অনুমতি দিয়ে ২০১২ সালে মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় পরিবর্তন আনা হয়। এর আগে শুধু ‘প্রাকৃতিকভাবে জন্ম’ নেয়া নারীরাই মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারতেন।
নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় মিস ইউএসএ প্রতিযোগিতায় জয়ী হলে এনরিকেজ পরবর্তী সময়ে মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতিনিধিত্ব করবেন। সে ক্ষেত্রে তিনি হবেন মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া বিশ্বের দ্বিতীয় ট্রান্সজেন্ডার নারী।
এর আগে ২০১৮ সালে মিস ইউনিভার্সে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা স্পেনের অ্যাঞ্জেলা পন্স ছিলেন বিশ্বের প্রথম ট্রান্সজেন্ডার নারী।