বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বর্ণবাদের ভুক্তভোগীদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার আহ্বান জাতিসংঘের

  •    
  • ২৯ জুন, ২০২১ ১৬:২১

প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘জাতিগত ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য বিভিন্ন দেশে কয়েক শ বছর ধরে চলে আসা বর্ণবৈষম্য ও সহিংসতায় ইতি টানতে হবে। এ জন্য আনুষ্ঠানিক স্বীকারোক্তি ও ক্ষমাপ্রার্থনা, সত্য উদঘাটন, ক্ষতিপূরণসহ শাসনব্যবস্থায় বিভিন্ন সংশোধনীমূলক পরিবর্তন আনতে হবে।’

বর্ণবৈষম্য ও জাতিবিদ্বেষের ভুক্তোভোগীদের জন্য ক্ষতিপূরণসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।

বিশেষ করে উন্নত দেশগুলোতে বসবাসরত আফ্রিকান বংশোদ্ভূতদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার তাগিদ দেয় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচআরসি।

বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, যুক্তরাজ্য, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, কানাডা, ব্রাজিল ও কলম্বিয়াসহ বিভিন্ন দেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে ইউএনএইচআরসি।

সংস্থাটিন নতুন প্রতিবেদনে বৈষম্যের বিষয়টি স্বীকার করে নিয়ে ক্ষমাপ্রার্থনা ও শিক্ষা খাত সংস্কারেরও পরামর্শ দেয়া হয়।

২০২০ সালের ২৫ মে যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশি হেফাজতে প্রকাশ্যে কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকান জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের পরই শুরু হয় গবেষণাভিত্তিক প্রতিবেদনটির কাজ।

শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তার হাঁটু চাপায় নিরস্ত্র ফ্লয়েডের মৃত্যুর ভিডিও ভাইরাল হলে বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনে ফুঁসে ওঠে যুক্তরাষ্ট্র। পুলিশি বর্বরতার বিরুদ্ধে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ শীর্ষক ওই গণআন্দোলন পরে ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন দেশে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মিনেসোটার মিনেপোলিসে ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদ এবং অভিযুক্ত শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তার দোষী সাব্যস্ত ও দণ্ডিত হওয়া ‘বর্ণবাদবিরোধী লড়াইয়ের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা’।

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক কমিশনার মিশেল ব্যাশেলে সোমবার এক বিবৃতিতি বলেন, ‘সব দেশকে বর্ণবাদের অস্তিত্ব অস্বীকার করার অবস্থান থেকে সরতে হবে, জাতিবিদ্বেষ নির্মূলে কাজ শুরু করতে হবে এবং আফ্রিকান বংশোদ্ভূতদের মতকে গুরুত্ব দিতে হবে।’

৩০০’র বেশি বিশেষজ্ঞ ও আফ্রিকান বংশোদ্ভূত ব্যক্তির সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। এতে আহ্বান জানানো হয়েছে জাতিগত বৈষম্যে ইতি টানতে সরকারিভাবে ব্যবস্থা নেয়ার।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিভিন্ন দেশে জাতিগত বিভেদের মানসিকতা পোষণ করে পুলিশ এবং অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করে। পদ্ধতিগতভাবে এমন কর্মকাণ্ড অনেক বেশি উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ ও লাতিন আমেরিকায়।

দাসপ্রথার সময় কোটি কোটি আফ্রিকানকে কেনাবেচায় যুক্ত ছিল যেসব দেশ, সেসব দেশেই বর্ণবাদের শেকড় সবচেয়ে গভীরে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘জাতিগত ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য বিভিন্ন দেশে কয়েক শ বছর ধরে চলে আসা বর্ণবৈষম্য ও সহিংসতায় ইতি টানতে হবে। এজন্য আনুষ্ঠানিক স্বীকারোক্তি ও ক্ষমাপ্রার্থনা, সত্য উদঘাটন, ক্ষতিপূরণসহ শাসনব্যবস্থায় বিভিন্ন সংশোধনীমূলক পরিবর্তন আনতে হবে।’

প্রতিবেদনে ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলনের প্রশংসা করে বলা হয়, এই আন্দোলনের উদ্যোক্তাদের স্বীকৃতি, সমর্থন ও লড়াই অব্যাহত রাখতে তহবিলের জোগান দিতে হবে।

চিলির সাবেক প্রেসিডেন্ট ব্যাশেলে বলেন, ক্ষতিপূরণ শুধু আর্থিক হলেই চলবে না, বরং ভবিষ্যৎ অন্যায় ও বৈষম্য প্রতিরোধে সব ধরনের নিশ্চয়তাও দিতে হবে।

এ জন্য দেশে দেশে সরকার ও নেতাদের রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর