টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করেছেন ট্রান্সজেন্ডার নারী হোচিমিন ইসলাম।
লিমন আহমেদের রচনা ও নিকুল কুমার মণ্ডলের পরিচালনায় নুরুলের শেষের কবিতা নামের এই নাটকটির শুটিং এরই মধ্যে শেষ হয়েছে।
কোরবানির ঈদে নাটকটি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে প্রচার হবে।
নিউজবাংলার সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানিয়েছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের জেমস পি. গ্র্যান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী হোচিমিন।
নাটকে অভিনয় করার অনুভূতি জানিয়ে হোচিমিন বলেন, ‘ছোটবেলায় যখন আমি খুবই ছোট, একটা ছেলে বাচ্চার মতো বড় হচ্ছিলাম, সেই সময়ই আমার মনে হতো ইশ, আমি যদি টেলিভিশনের পর্দায় আসতে পারতাম। একটা নায়িকার চরিত্র করতে পারতাম, খুব হতো।
‘এইটা আমার ছোটবেলার একটা ফ্যান্টাসি ছিল; একটা স্বপ্ন ছিল। সেটা আমি কোনোদিন ভাবিনি; আজ থেকে ১০ দিন আগেও ভাবিনি যে, এই স্বপ্নটা আমার খুব দ্রুত পূরণ হয়ে যাবে। সত্যি এটা আমার কাছে অন্যরকম লাগছে। আরেকটা বিষয় ভালো লাগছে, মানুষের যে ধারণা, সেটা অন্যরকমভাবে পরিবর্তন হবে। যে জেন্ডার হায়ারার্কি আছে, সেটা এখন বদলাবে।’
শুটিং সেটে ট্রান্সজেন্ডার নারী হোচিমিন ইসলাম (বায়ে)ও অভিনেত্রী নাজিয়া হক অর্ষা । ছবি: সংগৃহীত
এই নাটকের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার বিষয়ে হোচিমিন বলেন, ‘বছরখানিক আগে ফেসবুকের একটা লাইভ অনুষ্ঠানে গিয়ে এই নাটকের নির্মাতার সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। এরপর গত দুই মাস আগে উনি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করলেন; বললেন আপনার সঙ্গে কথা আছে।
ট্রান্সজেন্ডার নারী হোচিমিন ইসলাম ও অভিনেত্রী নাজিয়া হক অর্ষা (বায়ে)। ছবি: সংগৃহীত
‘আমি টাইম মেলাতে পারছিলাম না। পরে উনি আমাকে হোয়াটস অ্যাপে স্ক্রিপ্ট দিলো। আমার চরিত্রের নাম রানু, যেটা নাটকের মূল চরিত্র কবিতার বোন। এই চরিত্রটা ভালো, গুরুত্বপূর্ণ ও সুন্দর।’
নাটকে নুরুল চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ। কবিতা চরিত্রে আছেন নাজিয়া হক অর্ষা।
নাটকে অন্যদের মধ্যে অভিনয় করছেন শহীদুল্লাহ সবুজ, মিলি বাশার, আনন্দ খালেদ, জুবায়ের হিল্লোল, জাহিদ হিমেল, জুয়েল মিয়াসহ অনেকে।