বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আদালতে শভিনের মায়ের সাফাই

  •    
  • ২৬ জুন, ২০২১ ০৯:৩৩

শভিনের মা ক্যারোলিন পলেন্টি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি যে বাস্তবতা এমন নয়। এই আদালতকে আমি বলতে চাই, এগুলোর একটি সত্যি নয় এবং আমার ছেলে একজন ভালো মানুষ।’

যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যার ঘটনায় শাস্তি ঘোষণার আগে দোষী সাব্যস্ত সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক শভিনের মায়ের বক্তব্য শোনেন আদালত।

মিনেপোলিসের একটি আদালতে ছেলের হয়ে সাফাই দেন শভিনের মা ক্যারোলিন পলেন্টি। শুক্রবার শাস্তি ঘোষণার দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন শভিনও।

ফ্রান্স টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদনে বলা হয়, শাস্তি নিশ্চিত জেনেও ছেলের হয়ে ক্ষমা চান মা ক্যারোলিন। আবেদন জানান সাজা লঘু করার।

তার দাবি, ‘আক্রমণাত্মক, হৃদয়হীন, বেপরোয়া’ আর বর্ণবাদী হিসেবে শভিনের যে নেতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি হয়েছে, তা তার প্রাপ্য নয়।

তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি যে বাস্তবতা এমন নয়। এই আদালতকে আমি বলতে চাই, এগুলোর একটিও সত্যি নয় এবং আমার ছেলে একজন ভালো মানুষ।’

ছেলেকে উদ্দেশ্য করে ক্যারোলিন বলেন, ‘ডেরেক, তুমি শুনে রাখো আমি সব সময় তোমাকে নিরপরাধ বলে বিশ্বাস করেছি এবং এই অবস্থান থেকে কখনোই নড়ব না। তোমার বাড়ি ফেরার সময়ও আমাকে এখানেই পাবে।’

২২ বছর ৬ মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন ৪৫ বছর বয়সী ডেরেক শভিন।

রায় ঘোষণার সময় বিচারক পিটার কাহিল বলেন, ‘আস্থা ও কর্তৃত্বের জায়গা থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার’ আর ফ্লয়েডের প্রতি হওয়া ‘বর্বরতা’ বিবেচনায় এ শাস্তি নির্ধারণ করা হয়েছে।

শাস্তি ঘোষণার আগে নিহত ফ্লয়েডের সাত বছরের শিশুকন্যার একটি ভিডিও বার্তাও শোনে আদালত।

দণ্ড ঘোষণার আগে ফ্লয়েডের পরিবারের প্রতি ‘সমবেদনা’ জানান শভিন। যদিও এ হত্যাকাণ্ডের জন্য ক্ষমা তিনি চাননি।

শাস্তি ঘোষণার আগে ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডে নতুন করে বিচার শুরুর আবেদন করেন শভিন। তার আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত।

২০২০ সালের ২৫ মে মিনেসোটার মিনেপোলিসে পুলিশি হেফাজতে নির্যাতনে মৃত্যু হয় আফ্রিকান-আমেরিকান জর্জ ফ্লয়েডের। মূল অভিযুক্ত শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক শভিন ৯ মিনিটের বেশি সময় ফ্লয়েডের ঘাড়ে হাঁটুচাপা দিয়ে রাখলে দম আটকে মৃত্যু হয় ৪৮ বছর বয়সী কৃষ্ণাঙ্গের।

প্রকাশ্য দিবালোকে এ হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ভাইরাল হলে বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনে ফুঁসে ওঠে যুক্তরাষ্ট্র। ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ শীর্ষক বর্ণবৈষম্য আর পুলিশি বর্বরতার বিরুদ্ধে এ আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে।

গণআন্দোলনের জেরে প্রথমে পুলিশ বাহিনী থেকে বহিষ্কৃত হন শভিনসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত চার পুলিশ কর্মকর্তা। বাকিদের বিরুদ্ধে ফ্লয়েডের নাগরিক অধিকার লঙ্ঘনের পৃথক অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

ইচ্ছাকৃত হত্যাসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগে গত মাসে দোষী সাব্যস্ত হন ৪৫ বছর বয়সী শভিন।

যুক্তরাষ্ট্রে হেফাজতে আসামিদের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ও বিচার বেশ বিরল ঘটনা। ফলে ফ্লয়েড হত্যার ঐতিহাসিক এ বিচার দেশটির আইনি ব্যবস্থায় পরিবর্তনের সূচনা বলে মনে করছেন অনেকে।

এ বিভাগের আরো খবর