চীনের শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে কানাডার নেতৃত্বে একযোগে নিন্দা ও উদ্বেগ জানিয়েছে ৪০টির বেশি দেশ। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বেইজিং।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, শুধু শিনজিয়াংই নয়, চীনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হংকং আর তিব্বতের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ জানিয়েছে প্রায় ৫০টি দেশ।
জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ ইউএনএইচআরসিতে মঙ্গলবার চীনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আওয়াজ তোলে কানাডা। এতে সমর্থন দেয় আরও অনেক দেশ।
জবাবে কানাডার ঔপনিবেশিক শাসনের ইতিহাস মনে করিয়ে দেয় চীন।
মানবাধিকার, বাণিজ্য ইস্যু আর উসকানিমূলক কূটনীতির অভিযোগে বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তপ্ত চীন-কানাডা সম্পর্ক।
কানাডার দূত লেসলি নর্টন বলেন, ‘উইঘুরদের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আমরা ভীষণভাবে উদ্বিগ্ন।’
নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক দলকে শিনজিয়াংয়ে প্রবেশাধিকার দিতে চীনের প্রতি আহ্বানও জানায় কানাডা। অঞ্চলটিতে ১০ লাখ মুসলিমকে বন্দি করে রাখা হয়েছে বলে জাতিসংঘের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জানানো হয় এ আহ্বান।
এ বিষয়ে যৌথ বিবৃতিতে সমর্থন দেয় অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, স্পেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ।
বিবৃতিতে বলা হয়, উইঘুরদের সঙ্গে নির্মম, অমানবিক আচরণ করছে বেইজিং। সন্তান জন্মদান নিয়ন্ত্রণ, যৌন সহিংসতা, সন্তানদের কাছ থেকে মা-বাবাদের জোরপূর্বক আলাদা করে দেয়ার অভিযোগও করা হয়।
জবাবে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের চীনা মিশনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জিয়াং দুয়ান একটি বিবৃতি দেন। সেখানে তিনি কানাডায় সম্প্রতি ২১৫ আদিবাসী শিশুর গণকবর শনাক্তের বিষয়টি তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, আগে এ বিষয়ে নিরপেক্ষ ও যথাযথ তদন্ত করুক কানাডা। এর ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করুক।
চীনের এ বক্তব্যে সমর্থন দিয়েছে রাশিয়া, বেলারুশ, ইরান, উত্তর কোরিয়া, সিরিয়া ও ভেনেজুয়েলা।
চীনকে সমর্থন দেয়া সবগুলো দেশের বিরুদ্ধেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে।