কানাডায় ট্রাক তুলে দিয়ে মুসলমান পরিবারের চার সদস্যকে হত্যার ঘটনায় হামলাকারী যুবককে আদালতে তোলা হয়েছে।
ভিডিও কনফারেন্স অ্যাপ জুমের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার শুনানিতে অংশ নেন ২০ বছর বয়সী ট্রাকচালক নাথানিয়েল ভেল্টম্যান।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, আগামী সোমবার আবারও শুনানির জন্য আদালতে উপস্থাপন করা হবে তাকে।
হামলাটি পুরোপুরি বিদ্বেষপ্রসূত বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। জানিয়েছে, নিহতদের সঙ্গে কোনো পূর্ব পরিচয় না থাকলেও মুসলমান বুঝতে পেরে তাদের ওপর ইচ্ছে করে ট্রাক উঠিয়ে দিয়েছিলেন ভেল্টম্যান।
কানাডিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনকে লন্ডন পুলিশের প্রধান স্টিভ উইলিয়ামস জানিয়েছেন, বিচার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিতে তদন্তে প্রাপ্ত তথ্যের বেশির ভাগই এখন প্রকাশ করা হচ্ছে না।
তিনি বলেন, ‘আমাদের কোনো কথা বা কাজে যেন আদালতের বিচারপ্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, তা নিশ্চিতে তথ্য সুরক্ষিত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আমরা।’
ওন্টারিও প্রদেশের লন্ডন শহরে স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যায় ওই হামলায় নিহত হন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত একটি পরিবারের তিন প্রজন্মের চার সদস্য। পরিবারটির বেঁচে যাওয়া একমাত্র সদস্য, ৯ বছরের একটি ছেলেশিশু গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি।
সন্ধ্যায় হাঁটতে বেরিয়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় হামলার শিকার হন তারা।
এর কিছুক্ষণ পরই ঘটনাস্থল থেকে খানিকটা দূরে একটি শপিং মলের পার্কিং লট থেকে আটক ও গ্রেপ্তার করা হয় ঘাতক ট্রাকচালককে।
সে সময় ভেল্টম্যান একটি সশস্ত্র ভেস্ট ও হেলমেট পরে ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তার বিরুদ্ধে চারটি হত্যা মামলা ও একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, কোনো ‘হেইট গ্রুপের’ সঙ্গে ভেল্টম্যানের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মেলেনি। তবে এখনও অনুসন্ধান চলছে।
তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ গঠন করা হতে পারে।
একে সন্ত্রাসী হামলা আখ্যা দিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
হামলার প্রতিক্রিয়ায় অভিবাসীবান্ধব কানাডার সমাজে ইসলামভীতি, মুসলমানবিদ্বেষ, বর্ণবাদ ও ঘৃণার অস্তিত্ব অস্বীকার করার সুযোগ নেই বলেও মন্তব্য করেন ট্রুডো।