বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ব্রিটেনে মেয়ে শিক্ষার্থীদের নগ্ন ছবিতে সয়লাব সামাজিকমাধ্যম

  •    
  • ১০ জুন, ২০২১ ১৭:৪০

সবচেয়ে ন্যক্কারজনক ও ঘৃণিত বিষয়টি হচ্ছে, এমন নৈরাজ্য এতটাই ছড়িয়ে পড়েছে যে মেয়ে শিক্ষার্থীরা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা অথবা রুখে দাঁড়ানোর মানসিক জোরও হারিয়ে ফেলেছে। দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষণা দিয়েছে, অফস্টেডের প্রতিবেদনে উঠে আসা এমন অপ্রত্যাশিত ও ন্যক্কারজনক পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্কুল-কলেজের কর্তৃপক্ষকে আরও বেশি সহায়তা দেয়া হবে।

স্কুল-কলেজের ছেলে শিক্ষার্থীরা তাদের সহপাঠীদের আপত্তিকর ও নগ্ন ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছে।

যুক্তরাজ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সার্বিক পরিবেশ ও মান নিয়ে কাজ করে এমন সংস্থা অফস্টেডের এক প্রতিবেদনে এমনটি উঠে এসেছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কালেকশন গেমস, হোয়াটস অ্যাপ ও স্ন্যাপচ্যাটে সয়লাব হয়ে গেছে মেয়ে শিক্ষার্থীদের একান্ত খোলামেলা ও অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও। এবং এই ধরনের ছবি প্রতিনিয়ত শেয়ার করা হচ্ছে এসব মাধ্যমে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওপর নজরদারি চালানো সংস্থাটি অন্তত ৯০০ শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

প্রতি ১০ জন মেয়ে শিক্ষার্থীর মধ্যে ৯ জনই অভিযোগ করেছে সহপাঠীরা তাদেরকে আপত্তিকর ভিডিও ও ছবি পাঠিয়েছে।

প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্টের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য।

স্কুল-কলেজে যৌন হয়রানির ঘটনা এত বেশি নিয়মিত হয়ে উঠেছে যে শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে এখন অভিযোগ করাও বাদ দিচ্ছে।

সংস্থাটি প্রতিবেদন তৈরি করতে দেশটির ৩২টি রাজ্যের সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনুসন্ধান চালিয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কালেকশন গেমস, ওয়াটস অ্যাপ ও স্ন্যাপচ্যাটে সয়লাব হয়ে গেছে মেয়ে শিক্ষার্থীদের একান্ত খোলামেলা ও অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও। ছবি: সংগৃহীত

৮০ শতাংশ মেয়ে শিক্ষার্থী জানিয়েছে, সামাজিকমাধ্যমগুলোতে অপ্রত্যাশিত ও আপত্তিকর মন্তব্যেরও শিকার হয়েছে তারা। একই সঙ্গে উত্তেজক ছবি পাঠাতে তাদেরকে নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করেছে তাদের সহপাঠীরা।

৬০ শতাংশের বেশি মেয়ে শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসের ভেতরে আপত্তিকর স্পর্শের শিকার হয়েছে সহপাঠীদের কাছ থেকে। এদিকে, অন্তত ২৫ শতাংশ ছেলে শিক্ষার্থীও এ ধরনের নিপীড়নের শিকার হয়েছে।

তবে সবচেয়ে হতাশাজনক বিষয় হচ্ছে, এমন ন্যক্কারজনক কাজের জন্য অধিকাংশ ছেলে শিক্ষার্থীর মধ্যে কোনো অনুশোচনার প্রকাশ পায়নি।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যৌন হয়রানি সম্পর্কিত এমন হাজারও অ্যাকাউন্ট নিয়মিত দেখত এবং সেগুলোর ছবি ও ভিডিও শেয়ার করত।

সবচেয়ে ন্যক্কারজনক ও ঘৃণিত বিষয়টি হচ্ছে, এমন নৈরাজ্য এতটাই ছড়িয়ে পড়েছে যে শিক্ষার্থীরা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা অথবা রুখে দাঁড়ানোর মানসিক জোরও হারিয়ে ফেলেছে।

দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষণা দিয়েছে, অফস্টেডের প্রতিবেদনে উঠে আসা এমন অপ্রত্যাশিত ও ন্যক্কারজনক পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্কুল-কলেজের কর্তৃপক্ষকে আরও বেশি সহায়তা দেয়া হবে।

এ বিষয়ে দ্য ইনডিপেনডেন্টকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধের দাবিতে গঠিত ঐক্যজোটের পরিচালক অ্যান্ড্রু সিমন বলেন, ‘এমন প্রতিবেদন ভয়াবহ ও সত্যিকার অর্থে দুঃখজনক। আমরা যদি এখনই এই সংকটের লাগাম টেনে ধরতে না পারি, তবে তরুণ শিক্ষার্থীদের পুরো একটি প্রজন্ম নষ্ট হয়ে যাবে।’

অফস্টেডের প্রধান পরিদর্শক আমান্ডা স্পিলম্যান জানান, এমন প্রতিবেদন তাকে ভীষণভাবে মর্মাহত করেছে।

তিনি বলেন, ‘অনেক মেয়ে শিক্ষার্থী মেনে নিয়েছে যে তাদের বড় হওয়ার এই প্রক্রিয়ায় যৌন নিপীড়ন সহ্য করে নিতে হবে। এ বিষয়ে অভিযোগ করার কোনো যৌক্তিকতা নেই বলেও ভ্রান্ত ধারণা জন্মেছে তাদের মধ্যে। আমাদের সম্মিলিতভাবে এই অরাজকতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর