যুক্তরাষ্ট্রের ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার গ্লোবাল নেটওয়ার্ক ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন এর সহপ্রতিষ্ঠাতা প্যাট্রিস কুলার্স।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন বলে দ্য গার্ডিয়ান ও বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
কুলার্স বলেন, শুক্রবার ফাউন্ডেশনে তার শেষ দিন।
প্রায় ছয় বছর ফাউন্ডেশন পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
গত মাসে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে কুলার্সের মালিকানাধীন চারটি বাড়ির খবর প্রকাশ হয়। এরপরই ৩৭ বছর বয়সী অ্যাক্টিভিস্টের আর্থিক বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়।
২০১৩ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার হ্যাশট্যাগ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের পথচলা শুরু হয়। এরপরই এটি বৈশ্বিক আন্দোলনে রূপ নেয়।
কুলার্স এক বিবৃতিতে বলেন, সামনে তার দ্বিতীয় বই ‘অ্যান অ্যাবলিশনিস্টস হেন্ডবুক’ প্রকাশ হতে যাচ্ছে। এ ছাড়া কৃষ্ণাঙ্গদের গল্প নিয়ে নির্মিত টেলিভিশনের একটি কাজও তার হাতে রয়েছে। এসবেই মনোযোগ দিতে চান তিনি।
ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার ফাউন্ডেশন নিয়ে তিনি বলেন, ‘ফাউন্ডেশনে দক্ষ, অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ মানুষ কাজ করছে। তারা ফাউন্ডেশনে ভালোভাবে নেতৃত্ব দিতে পারবে।
‘ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য একই থাকবে। শ্বেতাঙ্গ আধিপত্য নির্মূল ও জীবন রক্ষাকারী সংস্থা প্রতিষ্ঠা- এসব লক্ষ্য থেকে ফাউন্ডেশন সরবে না।’
কুলার্স বার্তা সংস্থা এপিকে বলেন, ফাউন্ডেশন থেকে পদত্যাগের পরিকল্পনা এক বছরের বেশি সময় আগে করেন তিনি। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে সম্পদ অর্জনের স্বার্থে ফাউন্ডেশনের অনুদান অপব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে। তার পদত্যাগের সিদ্ধান্তের সঙ্গে অভিযোগের কোনো সম্পর্ক নেই। এ ধরনের কাজ তিনি করেছেন, তার কোনো প্রমাণ নেই।
তিনি বলেন, ডানপন্থি বিভিন্ন সংগঠন তার নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ফেব্রুয়ারিতে বলা হয়, গত বছর মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যার পর বর্ণবাদবিরোধী প্রতিবাদের সময় ৯ কোটি ডলার ফাউন্ডেশনের তহবিলে জমা হয়।
গত মাসে নিউ ইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্যালিফোর্নিয়ার মালিবু শহরের কাছে ১.৪ মিলিয়ন ডলার মূল্যের বিলাসবহুল একটি বাড়ি কেনেন কুলার্স। এ ছাড়া জর্জিয়াসহ অন্যান্য অঙ্গরাজ্যে তার তিনটি বাড়ির খবর পাওয়া গেছে।