বর্ণবাদী আচরণ ও নারীর প্রতি বৈষম্যের অভিযোগে কাঠগড়ায় বহুজাতিক অনলাইন মার্কেটপ্লেস আমাজন।
ই-কমার্স জায়ান্টটির বিরুদ্ধে মামলা ঠুকেছেন পাঁচ নারী কর্মী।
অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের মালিকানাধীন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট জানায় এ তথ্য।
পত্রিকাটিতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, চারটি ফেডারেল আদালতে চলতি সপ্তাহে পাঁচ মামলা হয় অ্যামাজনের বিরুদ্ধে।
এসব মামলায় কয়েকজন ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে বলা হয়, বর্ণবাদ ও জেন্ডার বৈষম্যের প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেন ওই কর্মকর্তারা।
একটি মামলার বাদী ওয়াশিংটনে অ্যামাজনের ইভরেট কার্যালয়ের পণ্য সরবরাহবিষয়ক সাবেক ব্যবস্থাপক ডায়ানা কারভো।
তিনি জানান, ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অধীনস্তদের জাতিগত পরিচয় ধরে গালিগালাজ, হয়রানি ও বৈষম্যের অভিযোগ করায় উল্টো ভুক্তভোগীকেই চাকুরিচ্যুত করেছে অ্যামাজন।
পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে অ্যামাজনের হার্লেজভিল কার্যালয়ের শিফট ম্যানেজার এমিলি সুজার অভিযোগ, ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা কাজের বাইরে তার সঙ্গে একান্তে সময় কাটাতে চেয়েছেন। এতে রাজি হননি বলে তার পদাবনতি হয়েছে।
পাঁচটি মামলার মধ্যে দুটি করা হয়েছে সিয়াটলের ফেডারেল আদালতে। বাকিগুলোর একটি অ্যারিজোনায়, একটি ক্যালিফোর্নিয়ায় ও একটি ডেলাওয়্যারের আদালতে করা হয়েছে।
কর্মীদের পক্ষে সবগুলো মামলাতেই অ্যামাজনের বিরুদ্ধে লড়ছে নিউ ইয়র্কভিত্তিক আইনবিষয়ক প্রতিষ্ঠান উইগদর এলএলপি।
চলতি বছরের মার্চে এই প্রতিষ্ঠানটিই অ্যামাজনের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক শার্লট নিউম্যানের হয়ে একটি মামলা করে। ওই মামলাতেও অ্যামাজনের বিরুদ্ধে বর্ণ ও লিঙ্গবৈষম্যের অভিযোগ আনা হয়েছিল।
এক বিবৃতিতে নতুন মামলাগুলোতে আনা সব অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন অ্যামাজনের মুখপাত্র জেসি অ্যান্ডারসন।
ই-মেইলে পাঠানো বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘প্রতিটি অভিযোগের বিষয়ে অভ্যন্তরীণ অনুসন্ধান চালানো হয়েছে। প্রতিটি ঘটনাই আলাদা এবং কোনোটিরই প্রমাণ নেই।’
অ্যামাজন কর্মীদের প্রতি কোনো ধরনের হয়রানি ও বৈষম্যপূর্ণ আচরণ সহ্য করে না বলেও উল্লেখ করেন অ্যান্ডারসন।
তার দাবি, কোনো ধরনের হুমকি প্রদর্শন বা পাল্টা ব্যবস্থা নেয়ার ভয়ভীতি ছাড়াই সব অন্যায় আচরণের বিষয়ে ঊর্ধ্বতনদের জানাতে বরাবরই কর্মীদের উৎসাহ দেয় প্রতিষ্ঠানটি।
নতুন পাঁচটি মামলার দুইজন বাদী কৃষ্ণাঙ্গ নারী।
এদিকে অ্যামাজনের নির্বাহী সিন্ডি ওয়ার্নারের অভিযোগ, সমকামী বলে লিঙ্গ পরিচয় নিয়ে ঊর্ধ্বতনদের অনাকাঙ্ক্ষিত মন্তব্যের শিকার হয়েছেন তিনি।
তার অভিযোগ, বিষয়টি নিয়ে আইনের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়।