বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যুক্তরাষ্ট্রে এশীয়বিদ্বেষী অপরাধ ঠেকাতে বিল

  •    
  • ১৯ মে, ২০২১ ১১:৩০

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে এশীয় বংশোদ্ভূতদের বিরুদ্ধে কট্টর জাতীয়তাবাদী মনোভাব বেড়েছে। এ অবস্থায় নতুন এ আইনের ফলে দেশটিতে এশীয়বিরোধী বিদ্বেষপ্রসূত অপরাধ ঘটলে ব্যবস্থা নিতে পারবে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ।

যুক্তরাষ্ট্রে এশীয়দের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ঠেকাতে একটি বিল পাস হয়েছে কংগ্রেসে।

এপ্রিলে কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের অনুমোদনের পর মঙ্গলবার নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে ৩০২ ভোটের ব্যবধানে পাস হয় ‘অ্যান্টি-এশিয়ান অ্যান্ড প্যাসিফিক আইল্যান্ডার্স’ (এএপিআই) বিলটি। এর পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৩৬৪ জন আইনপ্রণেতা। বিপক্ষে ভোট পড়েছে ৬২টি।

আলজাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিলটিকে আইনে পরিণত করতে প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষর লাগবে। এরই মধ্যে বিলটি পাঠানো হয়েছে জো বাইডেনের দপ্তরে। যদিও আগেই বিলটিতে মৌখিক সমর্থন জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট।

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে এশীয় বংশোদ্ভূতদের বিরুদ্ধে কট্টর জাতীয়তাবাদী মনোভাব বেড়েছে। এ অবস্থায় নতুন এ আইনের ফলে দেশটিতে এশীয়বিরোধী বিদ্বেষপ্রসূত অপরাধ ঘটলে ব্যবস্থা নিতে পারবে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ।

গত এক বছরে যুক্তরাষ্ট্রে এশিয়ান-আমেরিকান ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মানুষদের প্রতি বিপুলসংখ্যক বিদ্বেষপ্রসূত অপরাধের অভিযোগ পেয়েছে পুলিশ।

চলতি বছরের মার্চে জর্জিয়ায় এশীয় বংশোদ্ভূত ছয় নারীকে গুলি করে হত্যার পর এ বিষয়ে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।

এএপিআই বিলকে সামনে নিয়ে আসা আইনপ্রণেতাদের অন্যতম গ্রেস মেং এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এক বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশের এশীয় আমেরিকানরা সাহায্য চেয়ে কাঁদছিলেন।’

সিনেটে ৯৪-১ ভোটে বিলটি পাস হওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় মেং বলেছিলেন, ‘এশীয় আমেরিকানদের পেটানোর আর নানাভাবে হয়রানি করার ভীতিকর অসংখ্য ভিডিও দেখেছি আমরা; অসুস্থ সব গল্প শুনেছি।’

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও এশীয় আমেরিকানদের অধিকারবিষয়ক কর্মীদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প চীনের ওপর করোনাভাইরাস মহামারির দায় চাপাতে শুরু করেন। এর প্রভাব পড়তে শুরু করে দেশটিতে বসবাসরত এশীয় আমেরিকানদের ওপর। বিশেষ করে বিভিন্ন রিপাবলিকান রাজনীতিকের বক্তব্যের প্রভাবে কট্টর জাতীয়তাবাদ বেড়েছে সারা দেশে।

সুনির্দিষ্ট আইন না থাকায় বিদ্বেষপ্রসূত অপরাধের বিচার এতদিন বেশ কঠিন ছিল যুক্তরাষ্ট্রে। ছিল না এ ধরনের ঘটনায় প্রশাসনের করণীয় সম্পর্কে তেমন কোনো নির্দেশনা বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য বিশেষ কোনো প্রশিক্ষণ।

‘জাবারা-হেয়ের নো হেইট’ আইনের বিধিমালাও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এএপিআই বিলে। ২০১৬ সালে ওকলাহোমায় সাম্প্রদায়িক হামলায় নিহত লেবানিজ বংশোদ্ভূত খালিদ জাবারা এবং ২০১৭ সালে ভার্জিনিয়ায় কট্টর শ্বেতাঙ্গদের হামলায় নিহত হিদার হেয়েরের নামে আইনটির নামকরণ করা হয়েছিল।

দুটি হত্যাকাণ্ডের একটিও প্রাথমিকভাবে বিদ্বেষপ্রসূত অপরাধ হিসেবে তালিকাভুক্ত না হলেও নতুন আইনের আওতায় পড়বে।

যুক্তরাষ্ট্রের এশীয় আমেরিকান জনগোষ্ঠীর বড় অংশের বাস ক্যালিফোর্নিয়া ও নিউ ইয়র্কে। দুটি অঙ্গরাজ্যেই এশীয় বংশোদ্ভূতদের প্রতি সহিংস আচরণের প্রবণতা সম্প্রতি উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে।

পর্যবেক্ষক সংস্থা স্টপ এএপিআই হেইটের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে তিন হাজার ৭৯৫টি বিদ্বেষপ্রসূত অপরাধের ঘটনা ঘটেছে।

এ বিভাগের আরো খবর