চলতি বছরের মার্চে অপরাহ উইনফ্রেকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ব্রিটিশ রাজপরিবারে থাকাকালীন তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছিলেন ডাচেস অফ সাসেক্স মেগান মার্কেল। এরপর দুই মাস তাকে আর গণমাধ্যমে কথা বলতে দেখা যায়নি। রোববার তিনি কথা বলেন বিবিসির সঙ্গে।
তার এ আলাপে উঠে আসে করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত নারী ও তাদের নাজুক পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের বিষয়গুলো।
মেগান বলেন, ‘করোনাভাইরাস মহামারির কারণে নারীদের এক প্রজন্মের অর্থনৈতিক অর্জন পুরোপুরি ধূলিসাৎ হয়েছে। ভাইরাসটির সংক্রমণ শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৫৫ লাখ নারী, বিশেষ করে অশ্বেতাঙ্গ নারী চাকরি হারান। এ ছাড়া বিশ্বজুড়ে আরও ৪ কোটি ৭০ লাখ নারী চরম দরিদ্র্যের মুখে পড়েন।
‘তবে করোনার টিকা সব দেশ ও মহাদেশে পৌঁছানোর পাশাপাশি টিকার সমবণ্টন ও ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতে আমরা যদি একসঙ্গে কাজ করি, তাহলে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে। এ ছাড়া যেসব দেশে টিকার খুব দরকার, বিভিন্ন দেশের সরকার যদি তাদের অতিরিক্ত টিকা সেসব দেশে দান করে, তাহলে আমরা আবার নতুন করে সবকিছু গড়ে তুলতে পারব।’
ডাচেস অফ সাসেক্স বলেন, ‘করোনার আগে যে অবস্থানে ছিলাম, সেখানে কেবল ফিরে যাওয়াই নয়, বরং আরও সামনের দিকে অগ্রসর হওয়া আমাদের লক্ষ্য। বিশ্বের সব নারীর সুযোগ-সুবিধা ও গতিশীলতা দ্রুত বৃদ্ধির মাধ্যমে এ জায়গায় পৌঁছানো সম্ভব।’
অনাগত সন্তানের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অনাগত মেয়েশিশুকে ঘিরে আমি ও আমার স্বামী যথেষ্ট রোমাঞ্চিত। এ আনন্দ বিশ্বের আরও লাখ লাখ পরিবারের সঙ্গে আমরা ভাগাভাগি করে নিচ্ছি। যখন আমাদের কন্যাশিশুর কথা ভাবি, তখন বিশ্বের সব কিশোরী ও তরুণীর কথা আমাদের মনে আসে।
‘এসব কিশোরী ও তরুণীদের অবশ্যই সমর্থন দিতে হবে যাতে তারা আমাদের ভবিষ্যতের পথ দেখাতে পারে। ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব আমাদের সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপের ওপরই নির্ভর করছে।’