মানুষের কাছ থেকে টাকা তোলে চলেন নিজেরাই। করোনা পরিস্থিতিতে আরও বিপাকে আছে যারা তাদের জন্য কিছু করার চেষ্টায় ট্রান্সজেন্ডার নাছিমা।
শনিবার নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের চনপাড়া ১ নং ওয়ার্ডে প্রায় ২০০ জনের মধ্যে শাড়ি ও লুঙ্গি বিতরণ করেছেন তিনি। এদের মধ্যে ১৫০ জনকে দেয়া হয়েছে শাড়ি।
এর উদ্যোক্তা নাছিমা নামে একজন।
তিনি বলেন, ‘করোনা মহামারিতে বহু মানুষ কষ্টে আছে। লকডাউনে অর্থনৈতিকভাবে খুবই বিপর্যস্ত অবস্থায় তারা। তাদের মুখে হাসি ফোটানোর আমার মূল উদ্দেশ্য।’
এ রকম সহায়তা অবশ্য বরাবরই করেন নাছিমা। তিনি বলেন, ‘আমার গুরু মা দিপালী কাশ্মীরি আমাকে আদেশ করেছেন। তা তাই আমি প্রতিবছর গরিব দুখি মানুষের মাঝে কাপড়, লুঙ্গি বিতরণ করে থাকি।
‘আল্লাহ আমার যতদিন বাঁচিয়ে রাখবে, আমি একইভাবে সাহায্য সহযোগিতা করে যাব।’
গত বছর ৩০০ জনকে শাড়ি-লুঙ্গি দিয়েছিলেন বলে জানান নাছিমা।
রূপগঞ্জের উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চনপাড়া গ্রামে বসবাস তার।
তিনি জানান, তাদের দল রূপগঞ্জে ও ডেমরা থানার একাংশ এলাকা থেকে টাকা তুলে থাকে। তার অধীনে আট-নয় জন শিশু আছে।
নাছিমা জানান যে টাকা উঠে তার একটি অংশ শিশুদের মধ্যে বিলিয়ে দেন তিনি। তারা এই টাকায় খাওয়া দাওয়া করে। বাকি টাকা থেকে মসজিদ-মাদ্রাসায় সাহায্য সহযোগিতা করে থাকেন তারা।
তিনি বলেন, ‘কোনো গরিব মানুষ যদি এসে তার কষ্টের কথা জানায় তাদেরকেও টাকা পয়সা দিয়ে সাহায্য সহযোগিতা করে থাকি।’
ট্রান্সজেন্ডারদের টাকা তোলা নিয়ে অনেক আলোচনা সমালোচনা আছে। তাদের মধ্য থেকেই এর জনের দেয়ার এই মানসিকতার প্রশংসাও আছে রূপগঞ্জে।
নাছিমা বলেন, ‘এক কথায় কাউকে কিছু দেওয়ার মধ্যে আনন্দ অন্য রকম। বলে বুঝাতে পারব না। আল্লাহ যদি আমাকে আরও দেয়, আমি আরও দান করতে চাই।’