বিশ্বজুড়ে পোশাকশিল্পে কর্মরত নারীশ্রমিকদের সহায়তায় ১৪ বছর আগে পারসোনাল অ্যাডভান্সমেন্ট অ্যান্ড ক্যারিয়ার এনহান্সমেন্ট (পিএসিই) নামে কর্মসূচি হাতে নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পোশাক কোম্পানি গ্যাপ।
নারীদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি ও প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে জনবল উন্নয়ন ও স্থিতিশীল সাপ্লাই চেইন প্রচারে সে সময় কাজ করে পিএসিই।
ফোর্বসের প্রতিবেদনে বলা হয়, পিএসিই যেসব দেশে বাস্তবায়ন করা হয়, সেগুলোতে কর্মসূচিটির প্রভাব জানতে নিজেদের কারিকুলাম ও মূল্যায়ন-ব্যবস্থা উন্নত করে গ্যাপের অংশীদারি সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর রিসার্চ অন উইমেন (আইসিআরডব্লিউ)। যোগাযোগ, সমস্যা সমাধান, সিদ্ধান্ত গ্রহণ, সময়-চাপ মোকাবিলাসহ অন্যান্য শিক্ষামূলক উদাহরণ কারিকুলামে যুক্ত ছিল।
নেতৃত্ব দেয়ার মতো পারস্পরিক ও কৌশলগত দক্ষতা উন্নয়নের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি বাস্তবায়নের একপর্যায়ে গ্যাপের সরবরাহকারী কারখানাগুলোতে নারীরা তদারকি পদে নিজেদের অধিষ্ঠিত করতে সক্ষম হন।
আইসিআরডব্লিউর উপদেষ্টামণ্ডলীর সহযোগী পরিচালক অ্যালি গ্লিনস্কি বলেন, ‘বিভিন্ন দেশে পিএসিই কর্মসূচি মূল্যায়ন করে গবেষণায় দেখা যায়, কর্মসূচিটি কার্যকর ও টেকসই ছিল। কারখানায় কর্মরত নারীরা এর মাধ্যমে সুফল পান।
‘শ্রমিক ও তাদের পরিবারের জন্যও পিএসিই কল্যাণ বয়ে আনে। পাশাপাশি পোশাক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো আরও দক্ষ ও মেধাবী জনবল নিয়ে কাজ করতে সক্ষম হয়।’
২০১৩ সালে পিএসিই কর্মসূচি আরও সম্প্রসারিত করে গ্যাপ, কমিউনিটিভিত্তিক উদ্যোগের মধ্য দিয়ে যেন প্রাপ্তবয়স্ক নারীর পাশাপাশি কিশোরীরাও এতে অংশ নিতে পারেন। গত বছরের শুরুর দিকে ১৭টি দেশের আট লাখেরও বেশি নারী-কিশোরী ওই কর্মসূচিতে যোগ দেন।
২০২২ সালের মধ্যে পিএসিইতে ১০ লাখের মতো নারী ও কিশোরী অংশগ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে গ্যাপ।