বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কৃষ্ণাঙ্গ ফ্লয়েড হত্যায় শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তা দোষী সাব্যস্ত

  •    
  • ২১ এপ্রিল, ২০২১ ০৯:২৫

রায়ের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমাদের আরও কাজ করতে হবে। কাঠামোগত বর্ণবাদ জাতির জন্য কলঙ্ক। ফ্লয়েড হত্যার ন্যায়বিচারের মধ্য দিয়ে কিছুটা হলেও সে কলঙ্ক মোচন করা গেছে।’

আফ্রিকান বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যা মামলার আসামি শ্বেতাঙ্গ সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক শভিন আদালতের রায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। কয়েক দশক কারাদণ্ড হতে পারে ৪৫ বছর বয়সী শভিনের।

দেশটির মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরের একটি আদালত স্থানীয় সময় মঙ্গলবার এ রায় দেয়।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, তিন সপ্তাহ ধরে ৪৫ প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য ও আদালতে উপস্থাপিত ভিডিও ফুটেজসহ অন্যান্য প্রমাণ বিচার-বিশ্লেষণ শেষে শভিনের বিরুদ্ধে আনা তিনটি অভিযোগের সত্যতা পায় ১২ সদস্যের জুরি। সাজা ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত তিনি পুলিশের হেফাজতে থাকবেন।

সোমবার বাদী ও আসামিপক্ষের আইনজীবী তাদের সমাপনী বক্তব্য দেন। এরপর রায়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে একটি হোটেলে জুরিরা অবস্থান করেন। ওই সময় বাইরের কারও সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ ছিল তাদের। রায় নিয়ে ঐকমত্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত ঘরে ফেরারও অনুমতি ছিল না জুরিদের।

ফ্লয়েড হত্যার রায় ঘোষণার পর আদালতের বাইরে অপেক্ষমাণ হাজার হাজার মানুষ উল্লাসে ফেটে পড়ে।

আদালতের রায়ের বিষয়ে ফ্লয়েড পরিবারের আইনজীবী বেন ক্রাম্প বলেন, ‘আজকের রায় যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে টার্নিং পয়েন্ট। অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে অবশেষে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহির বাইরে নয়, এই রায় সেই বার্তা পরিষ্কারভাবে দিচ্ছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস রায় ঘোষণার পর ফ্লয়েডের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন।

পরে টেলিভিশনে দেয়া বক্তব্যে বাইডেন বলেন, ‘দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমাদের আরও কাজ করতে হবে। কাঠামোগত বর্ণবাদ জাতির জন্য কলঙ্ক। ফ্লয়েড হত্যার ন্যায়বিচারের মধ্য দিয়ে কিছুটা হলেও সে কলঙ্ক মোচন করা গেছে।’

২০২০ সালের ২৫ মে ৪৬ বছর বয়সী ফ্লয়েডকে জালটাকা ব্যবহারের অভিযোগে গ্রেপ্তার করে মিনিয়াপলিস পুলিশ। গ্রেপ্তারের সময় ফ্লয়েডকে মাটিতে শুইয়ে তার ঘাড়ে প্রায় ৯ মিনিট চেপে বসেন শভিন। ওই সময় বারবার শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে বলার পরও ওই পুলিশ কর্মকর্তা ফ্লয়েডের ঘাড় থেকে নামেননি। একপর্যায়ে ফ্লয়েডের মৃত্যু হয়।

ওই ঘটনার ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষোভে ফুঁসে ওঠে যুক্তরাষ্ট্রের হাজারও মানুষ। শুরু হয় বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভ, যা কেবল যুক্তরাষ্ট্রেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। ছড়িয়ে পড়ে ইউরোপেও।

ফ্লয়েডকে হত্যার অভিযোগে শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তা শভিনসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে নিহত ব্যক্তির পরিবার।

এ বিভাগের আরো খবর