যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যা মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে মিনেপোলিসসহ বিভিন্ন শহরে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
শুনানির শেষ দিন সোমবার বাদীপক্ষের আইনজীবীরা বহিষ্কৃত পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক শভিনকে ফ্লয়েডের হত্যাকারী আখ্যা দেন।
যদিও শভিনের পক্ষের আইনজীবীদের দাবি, পুলিশ প্রশিক্ষণ অনুযায়ীই ব্যবস্থা নিয়েছিলেন তিনি।
তিন সপ্তাহের শুনানি শেষ হলেও রায় ঘোষণা এখনও বাকি। নিরাপত্তা নিশ্চিতে মিনেপোলিস আদালত চত্বরে কাঁটাতারের বেড়া, ব্যারিকেড স্থাপনসহ মোতায়েন করা হয়েছে ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের।
রায় ঘোষণা হলে বিভিন্ন শহরে আন্দোলন শুরু হতে পারে, এমন আশঙ্কায় নেয়া হচ্ছে নানা নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
গত বছরের মে মাসে পুলিশের হেফাজতে নিহত হন ৪৬ বছর বয়সী কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকান জর্জ ফ্লয়েড। সে সময় ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ফ্লয়েডের ঘাড়ে নয় মিনিটের বেশি সময় হাঁটু দিয়ে জোরে চাপ দিয়ে রাখেন শ্বেতাঙ্গ শভিন। এক পর্যায়ে ফ্লয়েড নিস্তেজ হয়ে পড়লেও তাতে তোয়াক্কা ছিল না উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার্স’ নামে গণবিক্ষোভের মুখে চার পুলিশ কর্মকর্তা বাহিনী থেকে বহিষ্কার হন। এদের মধ্যে প্রধান অভিযুক্ত শভিনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়।
মামলায় উল্লেখিত সব অভিযোগই অস্বীকার করেন শভিন। অপরাধ প্রমাণে সর্বোচ্চ ৪০ বছর পর্যন্ত সাজা হতে পারে তার।
দীর্ঘ শুনানিতে চিকিৎসক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষজ্ঞ, শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা, পথচারী, ফ্লয়েডের স্বজন ও বন্ধুবান্ধবসহ ৪৫ জন সাক্ষীর বক্তব্য শুনেছে আদালত।
চূড়ান্ত রায়ে শভিন দণ্ডিত হলে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে তা হবে নজিরবিহীন ঘটনা। দেশটিতে নিরাপত্তা বাহিনীর হেফাজতে আসামিদের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ও বিচারের ঘটনাই বিরল।
মিনেপোলিসের আদালতে ফ্লয়েড হত্যা মামলার ১২ বিচারকের মধ্যে ছয় শ্বেতাঙ্গ, চার কৃষ্ণাঙ্গ ও দুইজন ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর। বিচারকদের মধ্যে সাতজন নারী ও পাঁচজন পুরুষ।