বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

উইঘুরদের প্রতি চীনের আচরণ ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’

  •    
  • ২০ এপ্রিল, ২০২১ ১৩:২৩

এইচআরডব্লিউর অভিযোগ, কথিত ‘রাজনৈতিক শিক্ষাকেন্দ্র’, বিচারপূর্ব আটককেন্দ্র ও কারাগারসহ ৪০০ শিবিরে ১০ লাখের বেশি মানুষকে আটকে রাখা হয়েছে। মা-বাবাকে আটকে রাখা হয়েছে, এমন সন্তানদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রাখা হচ্ছে রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হেফাজতে।

চীনের জাতিগত সংখ্যালঘু উইঘুরদের প্রতি দেশটির সরকারের আচরণ মানবতাবিরোধী অপরাধের পর্যায়ে পড়ে বলে মন্তব্য করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।

সংস্থাটির মতে, শুধু উইঘুরই নয়, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শিনজিয়াং প্রদেশের অন্যান্য নৃগোষ্ঠীর সদস্যদের প্রতিও একই কায়দায় দমন-পীড়ন চালাচ্ছে বেইজিং।

এইচআরডব্লিউর প্রতিবেদন ‘ব্রেক দেয়ার লাইনএইজ, ব্রেক দেয়ার রুটস’-এ এসব মন্তব্য করা হয়েছে।

৫৩ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, শিনজিয়াংয়ের বাসিন্দাদের কোণঠাসা করতে গণআটক অভিযান, নির্যাতন, সাংস্কৃতিক নিপীড়নসহ নানা কার্যক্রম পরিচালনা করছে চীনা সরকার।

প্রতিবেদনে উইঘুরদের গুম, নজরদারি, পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন রাখা, বিদেশ থেকে চীনে ফিরতে বাধ্য করা, জোরপূর্বক বিভিন্ন কাজ করানো, যৌন সহিংসতা ও সন্তান জন্মদানের অধিকার কেড়ে নেয়ার মতো বিভিন্ন আচরণের কথা তুলে ধরা হয়।

স্ট্যানফোর্ড ল’ স্কুলের হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড কনফ্লিক্ট রেজোল্যুশন ক্লিনিকের সহযোগিতায় লেখা প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, শিনজিয়াংয়ের উইঘুর মুসলমানদের ওপর নিপীড়ন চালানো বেইজিংয়ের জন্য নতুন নয়। তবে সম্প্রতি নতুন মাত্রা নিয়েছে অত্যাচারের ধরন।

এইচআরডব্লিউর অভিযোগ, কথিত ‘রাজনৈতিক শিক্ষাকেন্দ্র’, বিচারপূর্ব আটককেন্দ্র ও কারাগারসহ ৪০০ শিবিরে ১০ লাখের বেশি মানুষকে আটকে রাখা হয়েছে। মা-বাবাকে আটকে রাখা হয়েছে, এমন সন্তানদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রাখা হচ্ছে রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হেফাজতে।

উইঘুরদের দমনে ২০১৭ সাল থেকে তৎপরতা জোরদার করে বেইজিং। ১৪০ কোটি মানুষের দেশ চীনের মাত্র দেড় শতাংশের বাস শিনজিয়াংয়ে। অথচ সারা দেশে যত মানুষ গ্রেপ্তার, তার ২১ শতাংশই এ প্রদেশে। গত পাঁচ বছরে অঞ্চলটিতে আগের পাঁচ বছরের তুলনায় গ্রেপ্তারের হার বেড়েছে ৩০৬ শতাংশ।

২০১৭ সাল থেকে অঞ্চলটির দুই-তৃতীয়াংশ মসজিদ চীনা সরকার ধ্বংস করে দিয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।

সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এইচআরডব্লিউর চীনের পরিচালক সোফি রিচার্ডসন বলেন, ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের অর্থ হলো মানুষ হিসেবে প্রাপ্য কিছু অধিকার গুরুতর পর্যায়ে লঙ্ঘনের অপরাধ। বেসামরিক জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে পদ্ধতিগত ও ঢালাওভাবে এ ধরনের অপরাধ সংঘটিত হয়। শিনজিয়াংয়ে যা ঘটছে, আন্তর্জাতিক আইনে তা ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন।’

উইঘুরদের ওপর নিপীড়ন বন্ধে চীনের বিরুদ্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়কে সমন্বিত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এইচআরডব্লিউর নির্বাহী পরিচালক কেনেথ রথ।

উইঘুরদের বিরুদ্ধে বেইজিংয়ের আচরণকে আগেই ‘জেনোসাইড’ আখ্যা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডস এবং বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন। উইঘুর ইস্যুতে চীনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার মতো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য ও কানাডা।

বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে চীনা সরকার। বেইজিংয়ের দাবি, উগ্রবাদ ঠেকাতে শিবিরগুলোতে উইঘুর মুসলমানদের কারিগরি শিক্ষা দেয়া হয়।

এ বিভাগের আরো খবর