বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দুর্ঘটনাবশত রাইটকে গুলি: পুলিশপ্রধান

  •    
  • ১৩ এপ্রিল, ২০২১ ১২:০৭

গ্যানন বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, ওই পুলিশ কর্মকর্তা টেসার ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ভুল করে তিনি রাইটকে গুলি করে বসেন। যা ঘটেছে, রাইটের পরিবারের জন্য তা অপূরণীয় ক্ষতি। এ যন্ত্রণা কমানোর ভাষা আমার নেই।’

যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটায় কৃষ্ণাঙ্গ ডন্ট রাইটকে পুলিশের গুলি করে হত্যা ‘দুর্ঘটনা ছিল’ বলে অঙ্গরাজ্যটির ব্রুকলিন সেন্টার শহরের পুলিশপ্রধান টিম গ্যানন জানিয়েছেন।

স্থানীয় সময় সোমবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘটনার সময় এক পুলিশ কর্মকর্তার বডি ক্যামেরা থেকে ধারণ করা ভিডিও সাংবাদিকদের দেখান গ্যানন। এতে দেখা যায়, রাস্তার ধারে পুলিশ কর্মকর্তারা রাইটকে হাতকড়া পরাতে চাইলে তিনি গাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেন। ওই সময় এক পুলিশ সদস্যকে তিনবার ‘টেসার!’ বলতে শোনা যায়। পুলিশের নীতিমালায় লক্ষ্য নিশানার সময় বন্দুক ব্যবহার না করে আগে টেসার (ইলেকট্রিক শক দেয়ার মতো প্রাণঘাতী নয় এমন যন্ত্র) ব্যবহারের কথা বলা রয়েছে।

ভিডিওতে ওই একই কর্মকর্তাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি তাকে গুলি করে ফেলেছি’। সে সময় রাইটকে গাড়িতে ঢুকে তা চালাতে দেখা যায়। মারাত্মক আহত রাইট কিছুদূর গিয়েই একটি গাড়িকে ধাক্কা দেন।

গ্যানন বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, ওই পুলিশ কর্মকর্তা টেসার ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ভুল করে তিনি রাইটকে গুলি করে বসেন। যা ঘটেছে, রাইটের পরিবারের জন্য তা অপূরণীয় ক্ষতি। এ যন্ত্রণা কমানোর ভাষা আমার নেই।’

রাইটকে গুলি করা পুলিশ কর্মকর্তা কিম পটারকে প্রশাসনিক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। ব্রুকলিন সেন্টার পুলিশ দপ্তরে ২৬ বছর ধরে কর্মরত তিনি।

এদিকে পুলিশ প্রধানের বক্তব্যের পর বিক্ষোভে ফেটে পড়ে ব্রুকলিন সেন্টারের হাজার হাজার মানুষ। কারফিউ ভেঙে পুলিশ সদর দপ্তরের বাইরে অবস্থান নেয় তারা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশ সদস্যদের দিকে কয়েকজন বিক্ষোভকারী বোতল ছুড়ে মারেন। পুলিশও পাল্টা কাঁদানে গ্যাস ও স্টান গ্রেনেড ছোড়ে।

একই সংবাদ সম্মেলনে ব্রুকলিন সেন্টার মেয়র মাইক ইলিয়ট বলেন, ডন্ট রাইটের মৃত্যুর ন্যায়বিচার নিশ্চিতে যা যা করা দরকার, তিনি তা করবেন।

রোববার দুপুরে ট্রাফিক আইন ভঙ্গের অভিযোগে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান ডন্ট রাইট। এ ঘটনার প্রতিবাদে রোববার রাতে ব্রুকলিন সেন্টারে পুলিশ কার্যালয়ের বাইরে বিক্ষোভ করে শত শত মানুষ। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট ও স্টান গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জারি করা হয় কারফিউ।

ওই দিন নিহত রাইটের মা কেটি রাইট সাংবাদিকদের বলেন, রোববার দুপুরের দিকে ছেলে তাকে ফোন করে বলেন, রিয়ার-ভিউ আয়নায় এয়ার ফ্রেশনার ঝুলতে থাকায় (মিনেসোটায় যা বেআইনি) এক পুলিশ কর্মকর্তা তাকে গাড়ি থামাতে বলে। গাড়ি থেকে তার ছেলেকে বের হতে বলে পুলিশ।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘ওই সময় ধস্তাধস্তির শব্দ পাই। পুলিশ সদস্যদের বলতে শুনি, দৌঁড়াবা না, রাইট।

‘তখন কল কেটে যায়। আমি তার নম্বরে ফোন দিই। তার প্রেমিকা ফোন ধরে জানায়, চালকের আসনে রাইট মৃত পড়ে আছে।’

গত বছরের মে মাসে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড মিনেসোটার মিনিয়াপোলিস শহরে শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তাদের হেফাজতে নিহত হন। ফ্লয়েড যেখানে মারা যান, সেখান থেকে ১০ মাইল দূরে মৃ্ত্যু হয় ২০ বছর বয়সী রাইটের।

তিন সপ্তাহ আগে কড়া নিরাপত্তায় মিনিয়াপোলিসের একটি আদালতে ফ্লয়েড হত্যা মামলায় অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক শভিনের বিচার শুরু হয়। শভিনের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে বিচার শুরুর পর থেকে বিভিন্ন সময়ে বিক্ষোভ করে আসছে মিনিয়াপোলিসবাসী।

এ বিভাগের আরো খবর