বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মিনেসোটায় পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ নিহতের অভিযোগ, বিক্ষোভ

  •    
  • ১২ এপ্রিল, ২০২১ ১৩:০৪

গত বছরের মে মাসে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড মিনেসোটার মিনিয়াপলিস শহরে শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তাদের হেফাজতে নিহত হন। ফ্লয়েড যেখানে মারা যান, সেখান থেকে ১০ মাইল দূরে মৃ্ত্যু হয় ২০ বছর বয়সী রাইটের।

যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের ব্রুকলিন সেন্টার শহরে পুলিশের বিরুদ্ধে ডন্ট রাইট নামে এক কৃষ্ণাঙ্গ তরুণকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় সময় রোববার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

গত বছরের মে মাসে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড মিনেসোটার মিনিয়াপলিস শহরে শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তাদের হেফাজতে নিহত হন। ফ্লয়েড যেখানে মারা যান, সেখান থেকে ১০ মাইল দূরে মৃ্ত্যু হয় ২০ বছর বয়সী রাইটের।

এ ঘটনার প্রতিবাদে রোববার রাতে ব্রুকলিন সেন্টারে পুলিশ কার্যালয়ের বাইরে বিক্ষোভ করেছে শত শত মানুষ। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট ও স্টান গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ।

মিনেসোটার গভর্নর টিম ওয়ালজ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘গত বছর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে আরেক কৃষ্ণাঙ্গ মৃত্যুর শোক পালন করছে আমাদের অঙ্গরাজ্য। এমন সময়ে ব্রুকলিন সেন্টারে উদ্ভূত অস্থিরতা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।’

নিহত রাইটের মা কেটি রাইট সাংবাদিকদের বলেন, রোববার দুপুরের দিকে ছেলে তাকে ফোন করে বলেন, রিয়ার-ভিউ আয়নায় এয়ার ফ্রেশনার ঝুলতে থাকায় (মিনেসোটায় যা বেআইনি) এক পুলিশ কর্মকর্তা তাকে গাড়ি থামাতে বলে। গাড়ি থেকে তার ছেলেকে বের হতে বলে পুলিশ।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘ওই সময় ধস্তাধস্তির শব্দ পাই। পুলিশ সদস্যদের বলতে শুনি, দৌঁড়াবা না, রাইট।

‘তখন কল কেটে যায়। আমি তার নম্বরে ফোন দিই। তার প্রেমিকা ফোন ধরে জানায়, চালকের আসনে রাইট মৃত পড়ে আছে।’

এদিকে ব্রুকলিন সেন্টার পুলিশ এক বিবৃতিতে জানায়, বেলা ২টার একটু আগে ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করায় এক ব্যক্তিকে গাড়ি থামাতে বলা হয়। ওই সময় জানা যায়, তার নামে আগে থেকেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। পুলিশ গ্রেপ্তার করতে গেলে গাড়িতে বসে পড়েন তিনি। ওই সময় এক পুলিশসদস্য তাকে গুলি করেন। ওই ব্যক্তি গাড়ি চালাতে থাকলে একপর্যায়ে অন্য আরেকটি গাড়িতে ধাক্কা লেগে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

তিন সপ্তাহ আগে কড়া নিরাপত্তায় মিনিয়াপলিসের একটি আদালতে ফ্লয়েড হত্যা মামলায় অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক শভিনের বিচার শুরু হয়। শভিনের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে বিচার শুরুর পর থেকে বিভিন্ন সময়ে বিক্ষোভ করে আসছে মিনিয়াপলিসবাসী।

৪৬ বছর বয়সী ফ্লয়েডকে জাল টাকা ব্যবহারের অভিযোগে গ্রেপ্তার করে মিনিয়াপলিস পুলিশ। গ্রেপ্তারের সময় আফ্রিকান বংশোদ্ভূত ফ্লয়েডকে হাতকড়া পরানো অবস্থায় মাটিতে শুইয়ে তার ঘাড়ে প্রায় ৯ মিনিট চেপে বসেন শভিন। ওই সময় বারবার শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে বলার পরও ওই পুলিশ কর্মকর্তা ফ্লয়েডের ঘাড় থেকে নামেননি। একপর্যায়ে ফ্লয়েডের মৃত্যু হয়।

ওই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষোভে ফুঁসে উঠে যুক্তরাষ্ট্রের হাজারো মানুষ। শুরু হয় বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভ। এটি শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই সীমাবদ্ধ থাকেনি; ছড়িয়ে পড়ে ইউরোপেও।

ফ্লয়েডকে হত্যার অভিযোগে শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তা শভিনসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে নিহত ব্যক্তির পরিবার।

এ বিভাগের আরো খবর