বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আফিম নয়, ফ্লয়েডের মৃত্যু অক্সিজেনের অভাবে

  •    
  • ৯ এপ্রিল, ২০২১ ১০:৫৯

আসামি পক্ষের আইনজীবীর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে চিকিৎসক ডা. মার্টিন টোবিন বলেন, ব্যথানাশক আফিম গোত্রের ওষুধের কারণে ফ্লয়েডের মৃত্যু হয়নি। ফ্লয়েডকে যেভাবে পিছমোড়া করে হাতকড়া পরিয়ে মাটিতে শোয়ানো হয়েছিল, তাতে যেকোনো স্বাস্থ্যবান মানুষ অক্সিজেনের ঘাটতিতে পড়তে পারেন, যা তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে পারে।

আফিম জাতীয় কোনো ওষুধের কারণে নয় গ্রেপ্তারের সময় কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু অক্সিজেনের অভাবেই হয়েছে।

দুই সপ্তাহ আগে যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়াপলিস শহরের এক আদালতে ফ্লয়েড হত্যা মামলায় অভিযুক্ত শ্বেতাঙ্গ সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক শভিনের বিচার শুরু হয়। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সাক্ষ্য দেন চিকিৎসক ডা. মার্টিন টোবিন। ফ্লয়েডের মৃত্যুর বিষয়ে আদালতকে তিনি এমনটাই জানান বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

আসামি পক্ষের আইনজীবীর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে টোবিন বলেন, ফেন্টানিলের (ব্যথানাশক আফিম গোত্রের ওষুধ) কারণে ফ্লয়েডের মৃত্যু হয়নি। ফ্লয়েডকে যেভাবে পিছমোড়া করে হাতকড়া পরিয়ে মাটিতে শোয়ানো হয়েছিল, তাতে যেকোনো স্বাস্থ্যবান মানুষ অক্সিজেনের ঘাটতিতে পড়তে পারেন, যা তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে পারে।

২০২০ সালের ২৫ মে ৪৬ বছর বয়সী ফ্লয়েডকে জাল টাকা ব্যবহারের অভিযোগে গ্রেপ্তার করে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপলিস পুলিশ। গ্রেপ্তারের সময় আফ্রিকান বংশোদ্ভূত ফ্লয়েডকে মাটিতে শুইয়ে তার ঘাড়ে প্রায় নয় মিনিট চেপে বসেন শভিন। ওই সময় বারবার শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে বলার পরও ওই পুলিশ কর্মকর্তা ফ্লয়েডের ঘাড় থেকে নামেননি। এক পর্যায়ে ফ্লয়েডের মৃত্যু হয়।

ওই ঘটনার ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষোভে ফুঁসে ওঠে যুক্তরাষ্ট্রের হাজারো মানুষ। শুরু হয় বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভ, যা তখন কেবল যুক্তরাষ্ট্রেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। ছড়িয়ে পড়ে ইউরোপেও।

ফ্লয়েডকে হত্যার অভিযোগে শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তা শভিনসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে নিহতের পরিবার।

প্রায় দুই সপ্তাহ আগে শুরু হওয়া বিচারকাজ আরও অন্তত এক মাস চলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সামনের সপ্তাহে আসামি শভিনের পক্ষের আইনজীবী তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করবেন।

ফ্লয়েডের মৃত্যু নিয়ে গত বছরের জুনে একটি টক্সিকোলজি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। তাতে বলা হয়, ফ্লয়েডের শরীরে ব্যথানাশক ওষুধ ফেন্টানিল ও মেথামফেটামাইনের (স্নায়ুতন্ত্রে প্রভাব ফেলার মতো উত্তেজক ওষুধ) উপস্থিতি ছিল।

প্রতিবেদনের পর আসামি পক্ষের আইনজীবীদের ভাষ্য, গ্রেপ্তারের সময় ফ্লয়েডের অক্সিজেনের ঘাটতি ফেন্টানিলের কারণেই হয়েছে।

তবে আদালতে ফুসফুসের রোগবিষয়ক বিশেষজ্ঞ ডা. টোবিন বলেন, ফ্লয়েডের শ্বাসপ্রশ্বাসের গতি ফেন্টানিলের কারণে কমে যায়নি।

পরে শুনানির এক পর্যায়ে কেনটাকি পুলিশ সার্জন ডা. বিল স্মককে প্রশ্ন করেন আসামী পক্ষের আইনজীবী।

স্মক বলেন, অতি মাত্রায় ফেন্টানিল নিলে শ্বাসপ্রশ্বাসের গতি কমে যায়। ফেন্টানিল গ্রহণকারীরা অক্সিজেন ঘাটতির বিষয়টি বুঝতে পারেন না। তাদের মধ্যে ওই সময় ঘুমঘুম ভাব আসে। কিন্তু মৃত্যুর আগে ফ্লয়েডকে সতর্ক থাকতে দেখা যায়। তিনি অক্সিজেনের জন্য মরিয়া ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর