বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তাসে জেন্ডারের পর বর্ণবৈষম্যও দূর করল কিশোরী

  •    
  • ২৯ মার্চ, ২০২১ ১২:০৬

তাসে বৈষম্য রয়ে গিয়েছিল বলে অনেক ব্যবহারকারী জানান মায়ানকে। এমন বাস্তবতায় তাস নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করে সে দেখে, এগুলোতে জেন্ডার-বৈষম্য কমানো হলেও বর্ণগত বৈচিত্র্যহীনতা রয়ে গেছে। পরে সেটাও কমানোর উদ্যোগ নেয় কিশোরীটি।

কয়েক বছর আগে ছুটিতে পরিবার নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিল ১৩ বছরের কিশোরী মায়ান সেগাল। সেখানে তাস খেলার সময় পুরুষ কার্ডের চেয়ে নারী কার্ডের মান কম কেন, এ নিয়ে প্রশ্ন জাগে তার।

প্রশ্নটি বাবা ওরি সেগালকে করেছিল মায়ান। তারপর বাবা-মেয়ের মধ্যে অনেক আলোচনা হয় বিষয়টি নিয়ে। একপর্যায়ে তারা সিদ্ধান্ত নেয়, এমন একধরনের কার্ড বানানো হবে, যেখানে থাকবে না জেন্ডার-বৈষম্য।

মায়ানের বাবা ওরি বলেন, সন্তানকে এটা শিক্ষা দেওয়া জরুরি যে ছেলে হোক কিংবা মেয়ে, দুজনই সমান শক্তিশালী।

বাবার সঙ্গে শেয়ার করা ভাবনা ‍অনুযায়ী কার্ড বানানো শুরু করে মায়ান। তাসে রাজার জায়গায় সম্রাট বসায় সে। আর রানির জায়গায় বসায় ডাচেস কিংবা ডিউক। জ্যাকের বদলে আসে প্রিন্স অথবা প্রিন্সেস।

এই ঘটনা তিন বছর আগের। সে সময় ‘কুইং’ নামের ওই তাসগুলোর ৫০ হাজারের বেশি প্যাকেট বিক্রি হয়েছিল।

তবে তাসে বৈষম্য রয়ে গিয়েছিল বলে অনেক ব্যবহারকারী জানান মায়ানকে। এমন বাস্তবতায় তাস নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করে সে দেখে, এগুলোতে জেন্ডার-বৈষম্য কমানো হলেও বর্ণগত বৈচিত্র্যহীনতা রয়ে গেছে।

তাসে শুধু শ্বেতাঙ্গদের স্থান দেয়া হয়েছিল। সে জায়গায় মায়ান বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষকে সেগুলোতে স্থান দেয়। মাত্র পাঁচ দিনে গ্রাহকদের চাহিদা পূরণ করে সে।

শুরুতেই বাজিমাত করেছে মায়ানের তাসের নতুন সংস্করণ। ‘কুইং ২.০’ তাসগুলোর ৪০ হাজারের বেশি প্যাকেট এরই মধ্যে বিক্রি হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর