করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যুর দিক থেকে নারীদের চেয়ে পুরুষের সংখ্যা অনেক বেশি। তবে কর্মস্থলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছেন নারীরা।
নারীদের বেশিরভাগই কাজ করেন বেসরকারি খাতে। আর চলমান মহামারিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে এ খাতের। এমন বাস্তবতায় ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চারটি পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলেছে বেসরকারি সংস্থা ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ)।
১৭ দেশে জরিপ চালিয়ে সংস্থাটি দেখতে পায় কর্মস্থলে নারী-পুরুষদের বেতন বৈষম্য দূর, কর্মস্থল ও অনলাইনে সহিংসতা এবং যৌন হয়রানি বন্ধ, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিতের মতো বিষয়গুলোর চ্যালেঞ্জ নেয়ার সক্ষমতা বাড়ানো হলে নারীর প্রতি বৈষম্য কমবে। এ ছাড়া অনলাইনে যৌন শিক্ষা ও যৌন স্বাস্থ্যবিষয়ক জ্ঞান অর্জন সহজ করতে পারলেও অসমতা কমে আসবে।
কর্মস্থলে নারী-পুরুষের বেতন বৈষম্য দূরীকরণ
জরিপ চালানো ১৭ দেশেই নারী-পুরুষের বেতন বৈষম্যের বিষয়টি উঠে এসেছে। সন্তানদের দেখভাল ও বাড়ির কাজে পুরুষের তুলনায় নারীদের সম্পৃক্ততা বেশি। অন্যদিকে বাইরে কাজ করে থাকেন বেশিরভাগ পুরুষ।
জরিপ বলছে, এ ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতগুলো এগিয়ে আসতে পারে। নারীদের আরও বেশি করে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত করা গেলে নারী অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত হবে।
কর্মস্থল ও অনলাইনে সহিংসতা ও যৌন হয়রানি বন্ধ
কর্মক্ষেত্রে প্রায়ই নারীরা যৌন হয়রানির শিকার হন। তা বন্ধে বেসরকারি খাতগুলো নতুন নীতি প্রণয়ন করতে পারে। এ ছাড়া অনলাইনেও বাড়ছে যৌন হয়রানির ঘটনা। জরিপে অংশ নেয়া ৩৯ শতাংশ নারীই এই অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যায়। শক্ত ও কঠোর আইন করে এসব প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে মনে করছেন বেশিরভাগ মানুষ।
আধুনিক শিক্ষার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ
জরিপ বলছে, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিতের মতো বিষয়গুলোতে নারীদের আরও বেশি সম্পৃক্ত করতে হবে। এসব বিষয়ে পারদর্শী হলে চাকরি ক্ষেত্রে পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও এগিয়ে যেতে পারে। এতে অনানুষ্ঠানিক চাকরি থেকেও সরে আসতে পারবেন নারীরা।
অনলাইনে যৌন শিক্ষা ও যৌন স্বাস্থ্যবিষয়ক জ্ঞান
যৌন শিক্ষা ও যৌন স্বাস্থ্যবিষয়ক জ্ঞান থাকলে সহিংস ঘটনা অনেকটাই এড়ানো যাবে। এ জন্য এসব বিষয়ে সবার কম-বেশি জানা প্রয়োজন।
আর এসব বিষয়ে জানার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো অনলাইন। বিভিন্ন সাইটে প্রবেশের সীমাবদ্ধতা দূর করা গেলে কর্মস্থলে নারীর প্রতি যৌন হয়রানি অনেকটায় কমে আসবে বলে উঠে এসেছে জরিপে।