বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নারীর ওপর সহিংসতা রোধের চুক্তি থেকে সরলো তুরস্ক

  •    
  • ২০ মার্চ, ২০২১ ১২:৩৮

২০১২ সালের ১২ মার্চ তুরস্কই প্রথম ইস্তাম্বুল কনভেনশনের অনুমোদন দেয়। ২০১৯ সালের মার্চ পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ৪৫টি দেশ ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।

নারীর ওপর সহিংসতা বন্ধে বিশ্বের প্রথম বাধ্যবাধকতা থাকা চুক্তি থেকে সরে দাঁড়িয়েছে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের নেতৃত্বাধীন সরকার।

স্থানীয় সময় শুক্রবার তুরস্ক এ-সংক্রান্ত নির্দেশ দেয় বলে আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

২০১১ সালের ১১ মে তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা কাউন্সিল অফ ইউরোপ একটি মানবাধিকার চুক্তি স্বাক্ষরে সব দেশের প্রতি আহ্বান জানায়। চুক্তিটি ‘ইস্তাম্বুল কনভেনশন’ হিসেবে পরিচিত।

বৈবাহিক ধর্ষণ, নারীর যৌনাঙ্গহানিসহ তাদের ওপর সব ধরনের সহিংসতা রোধে সব দেশের সরকারকে আইন প্রণয়নের কথা ইস্তাম্বুল কনভেনশনে বলা হয়। এ ছাড়া অপরাধীদের দায়মুক্তি বন্ধে আইন প্রণয়নের বিষয়টিও ওই চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়।

২০১২ সালের ১২ মার্চ তুরস্কই প্রথম ইস্তাম্বুল কনভেনশনের অনুমোদন দেয়। ২০১৯ সালের মার্চ পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ৪৫টি দেশ ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।

ইস্তাম্বুল কনভেনশন থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো কারণ উপস্থাপন করেনি তুরস্ক।

দেশটির পরিবার, শ্রম ও সামাজিক নীতিবিষয়ক মন্ত্রী জেহরা জুমরুত টুইটবার্তায় বলেন, ‘আমাদের সংবিধানে সম্প্রতি নারী অধিকারের নিশ্চয়তা-সংক্রান্ত বিধান যুক্ত হয়েছে। আমাদের বিচারব্যবস্থা অনেক গতিশীল ও শক্তিশালী। প্রয়োজন অনুযায়ী নতুন বিধান বাস্তবায়ন সম্ভব।’

গত বছর এরদোয়ানের নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন রক্ষণশীল দল জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পাটির (একে পার্টি) সদস্যরা বলেছিলেন, নারীর ওপর ক্রমবর্ধমান সহিংসতা কীভাবে বন্ধ করা যায়, তা নিয়ে বাদানুবাদ চলছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ইস্তাম্বুল কনভেনশন থেকে সরে আসার চিন্তাভাবনা করছে তুরস্ক সরকার।

একে পার্টির অভিযোগ, ইস্তাম্বুল কনভেনশন পারিবারিক ঐক্য ক্ষতিগ্রস্ত করছে। পাশাপাশি এটি বিবাহবিচ্ছেদকেও উৎসাহিত করছে। এ ছাড়া ওই চুক্তিতে সমতার কথা বলা হয়েছে যা এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায় সমাজে তাদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে ব্যবহার করছে।

এদিকে ইস্তাম্বুল কনভেনশন থেকে তুরস্কের সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে দেশটির প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি বা সিএইচপি পার্টি।

রিপাবলিকান পিপলস পার্টির মানবাধিকারবিষয়ক বিভাগের ডেপুটি চেয়ারম্যান গোকচে গোকচেন টুইটবার্তায় বলেন, চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ানোর অর্থ নারীরা দেশের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে বিবেচিত হবেন। এর মাধ্যমে তাদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হবে।

গত বছর ইস্তাম্বুল কনভেনশন থেকে সরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিল এরদোয়ান নেতৃত্বাধীন সরকার। এর পর থেকেই ওই চুক্তি প্রত্যাহার না করার দাবিতে ইস্তাম্বুলসহ বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ করে আসছেন তুরস্কের নারীরা।

এ বিভাগের আরো খবর