চীনভিত্তিক রাইড শেয়ারিং অ্যাপ ডিডি। জনপ্রিয়তা বাড়ানোর লক্ষ্যে সম্প্রতি অভিনব এক উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তারা নারী গাড়িচালকদের পছন্দ অনুযায়ী নারী বা পুরুষ যাত্রী নেয়ার সুযোগ দিচ্ছে।
অ্যাপের মাধ্যমে আরোহী নারী নাকি পুরুষ, তা দেখে সে অনুযায়ী যাত্রার অনুরোধ গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করতে পারবেন নারী চালকরা।
জনপ্রিয়তা ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার ধারা বজায় রাখতে এ কৌশল ডিডির।
বিভিন্ন দেশে ৫৫ কোটি ব্যবহারকারী আর কয়েক কোটি গাড়িচালক অ্যাপটির সেবা নিচ্ছে। তবে জনপ্রিয়তায় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক উবারের ধারেকাছে নেই ডিডি।
প্রতিষ্ঠান দুটির বয়সের ব্যবধান মাত্র তিন বছর। ২০০৯ সালে যাত্রা শুরু করা উবারের বার্ষিক আয়ের পরিমাণ প্রায় দেড় হাজার কোটি ডলার। তবে নানা বিতর্কে জড়ানো উবারের বিকল্প হয়ে উঠতে নারীদের গুরুত্ব দিচ্ছে ডিডি।
চাইলে শুধু নারী যাত্রীদেরই সেবা দিতে পারবেন নারী ডিডিচালকরা। প্রতিষ্ঠানটি মনে করছে, এতে নারীরা গাড়ি চালানোর বিষয়ে উৎসাহ পাবেন; নারী যাত্রীরাও তাদের সঙ্গে রাইড শেয়ারে আগ্রহী হবেন।
অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক রাইড শেয়ারিং অ্যাপ শেবাহর গাড়িচালক ও যাত্রীদের সবাই নারী। কেবল নারী ও শিশুদেরই সেবা দেয় প্রতিষ্ঠানটি। এটি চালু হওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ায় নারী রাইড শেয়ার চালকদের হার পাঁচ শতাংশে পৌঁছেছে।
২০১২ সালে ডিডির যাত্রা শুরুর পাঁচ বছর পর ২০১৭ সালে চালু হয় শেবাহ। কেবল নারীভিত্তিক সেবা দিয়েই আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা পায় প্রতিষ্ঠানটি।
২০১৮ সালে মিশন অস্ট্রেলিয়ার এক জরিপে বেরিয়ে আসে, প্রায় ৪৭ শতাংশ অস্ট্রেলীয় নারী রাতে রাইড শেয়ারিং সেবা নেয়া ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করেন।
এ অবস্থায় শেবাহকে অনুকরণ করে নারীদের নিরাপত্তা আশ্বাস ও বাড়তি ব্যবস্থা নিয়ে গ্রাহক বাড়ানোর কৌশল নিয়েছে ডিডি। এতে রাতে নারী চালকরা যে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন, তা কমবে বলে মনে করছে প্রতিষ্ঠানটি।
ডিডির মুখপাত্র মিশেলে লিয়ং জানান, রাতে অপরিচিত চালকের সঙ্গে গাড়িতে ওঠার বিষয়ে নারী যাত্রীদের আতঙ্ক কাটাতে ‘ট্রিপচয়েজ’ ফিচার চালু করবে ডিডি। এটি ব্যবহার করতে পারবেন কেবল নারীরাই।
শুরুতে বিভিন্ন দেশের রাজধানীতে এ সুবিধা দিতে পাঁচ বছর মেয়াদি একটি পরিকল্পনা নিয়েছে ডিডি। এতে নারী চালকরা যেমন নারী যাত্রী বেছে নিতে পারবেন, তেমনি নারী যাত্রীরাও নারীচালকদের বেছে নেয়ার সুযোগ পাবেন।
ডিডির নারী গাড়িচালকদের অর্ধেকের বেশি গাড়ি চালান শুধু দিনের বেলায়। তাদের অভিযোগ, পুরুষ যাত্রীদের কারণে নিরাপত্তাঝুঁকিতে ভোগায় রাতে গাড়ি চালান না।