অস্ট্রেলিয়ায় পার্লামেন্ট ভবনের ভেতর ধর্ষণের ঘটনার জের কাটতে না কাটতেই, অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তুলেছেন আরও তিন নারী।
সবশেষ রোববার এবিসি নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এক নারী জানান, পার্লামেন্ট ভবনের ভেতর ধর্ষণের অভিযোগ উঠা ওই ব্যক্তি ২০১৭ সালে তাকে যৌন হয়রানি করেছিলেন। ক্যানবেরার একটি পানশালায় ওই ব্যক্তি টেবিলের নিচ দিয়ে তার শরীরে হাত দেয়। এ অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি মামলা করেছেন।
গত সোমবার আরেক নারী একই অভিযোগ করেন ওই ব্যাক্তির বিরুদ্ধে। তিনি জানান, ২০১৬ সালে নির্বাচনি প্রচারে সেচ্ছাসেবীর কাজ করার সময় তাকে যৌন হয়রানি করা হয়েছিল।
এর আগে দ্য অস্ট্রেলিয়ানকে দেয়া সাক্ষাৎকারে আরেক নারী বলেন, ২০২০ সালে ওই ব্যক্তি তাকে ধর্ষণ করেছিলেন।
অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ তোলেন হয় সাবেক রাজনৈতিক উপদেষ্টা ব্রিটানি হিজিনস। চলতি মাসে মাঝামাঝিতে এক টেলিভিশন শোতে হিজিনস জানান, ২০১৯ সালের মার্চে প্রতিরক্ষা শিল্পমন্ত্রী লিন্ডা রেনল্ডসের অফিসে ধর্ষণের শিকার হন তিনি। কাজ শেষে বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে ওই ব্যক্তি পার্লামেন্টের অফিসে নিয়ে ধর্ষণ করে তাকে।
এসব ঘটনায় সমালোচনার মুখে স্কট মরিসন সরকার। ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। জানান সংসদে কাজের পরিবেশ কতটা নিরাপদ তা খতিয়ে দেখা হবে।
এছাড়া এসব ঘটনা তদন্তে সেক্স ডিস্ক্রাইমিনেশন কমিশনার কেট জেনকিংসের সয়াহতা চেয়েছেন দেশটির অর্থমন্ত্রী সিমন বিরমিংহ্যাম।