ভারতের উত্তর প্রদেশের উন্নাও জেলায় বিষ প্রয়োগে দলিত দুই কিশোরীকে হত্যার অভিযোগে দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রাজ্য পুলিশ শুক্রবার তাদের গ্রেপ্তার করেছে বলে এনডিটিভি ও দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন বিনয় (২৮) ও ১৫ বছর বয়সী এক কিশোর।
পুলিশ বলছে, ১৭ বছর বয়সী কিশোরীকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন বিনয়। কিন্তু কিশোরীটি রাজি না হওয়ায় মর্মাহত হন তিনি। গ্রেপ্তার কিশোরের সহযোগিতায় কিশোরীটিকে বিষ প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেন বিনয়।
বুধবার ওই কিশোরকে সঙ্গে নিয়ে কীটনাশক মেশানো পানির বোতল ও স্ন্যাকস নিয়ে মাঠে যান বিনয়। সেখানে কিশোরীটি তার দুই মেয়ে কাজিনের সঙ্গে কাজ করছিল। সবাইকে স্ন্যাকস ও পানি খেতে দেন বিনয়। তার দেয়া খাবার খেয়ে সবাই অজ্ঞান হয়ে পড়ে।
ঘরে ফিরতে দেরি দেখে কিশোরীদের পরিবারের লোকজন তাদের খোঁজে বের হন। একপর্যায়ে কিশোরীদের মাঠে পড়ে থাকতে দেখলে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ ও ১৬ বছরের কিশোরীর মৃত্যু হয়। বাকি জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। উত্তর প্রদেশ রাজ্যের পুলিশপ্রধান হিতেশ চন্দ্র আওয়াস্থি বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে মৃতদের শরীরে জখমের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
এদিকে দুই দলিত কিশোরীর মৃত্যুর ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। বিরোধী দলের অভিযোগ, আদিত্যনাথের সরকার নারী ও কিশোরীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী টুইটবার্তায় বলেন, ‘শুধু দলিত নয়, নারীর সম্মান ও মানবাধিকার ধুলায় মেশাচ্ছে উত্তর প্রদেশ সরকার।’
সমাজবাদী পার্টির প্রেসিডেন্ট অখিলেশ যাদব বলেন, ‘প্রথমে ছিল ‘‘হাথরার মেয়ে’', এরপর ‘‘বাদায়ুনের মা’' আর এখন ‘‘উন্নাওয়ের বোন।’”