ভারতে জেন্ডার অসমতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শামিল হয়েছেন অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন ও অভিনেত্রী জয়া বচ্চনের নাতনি নব্য নাভেলি নন্দা।
প্রজেক্ট নাভেলির মাধ্যমে তিনি নারী স্বাধীনতার বিষয়ে কাজ করবেন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাময়িকী ভোগ।
পরিবারে প্রতিষ্ঠিত নারীদের মধ্যে বড় হয়েছেন ২৩ বছর বয়সী নন্দা। নানি জয়া বচ্চন, মা লেখক শ্বেতা বচ্চন নন্দা ও ফুপু ব্যবসায়ী নাতাশা নন্দার সান্নিধ্য সমাজে পুরুষের পাশাপাশি নারীর সমান অধিকারের বিষয়ে তাকে ভাবিয়েছে।
প্রজেক্ট নাভেলি সম্পর্কে নন্দা বলেন, ‘সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে ও পরিবর্তন আনতে আমি সম্পদ, মানুষ, সুবিধা ও প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে চাই। বিদেশে পড়াশোনা আমার। সেখানে নারীদের আমি আরও স্বাধীন দেখেছি। তাদের মতো একই সুযোগ পেয়ে ভারতের নারীরাও স্বাধীন হোক, তা চাই। তারা যেন তাদের ভবিষ্যৎ নির্মাণ করতে পারে। পাশাপাশি নিজেদের জীবন নিজেরাই নিয়ন্ত্রণের সক্ষমতা ধারণ করতে পারে।
‘আমি পরিবারে কর্মজীবী নারীদের মধ্যে বড় হয়েছি। সমাজে নারীদের জন্য পরিবর্তন আনতে হলে শিক্ষা ও আর্থিক স্বাধীনতা দিয়েই তা শুরু করতে হয়। প্রজেক্ট নাভেলির কাজ এ নিয়েই।’
জেন্ডারে সমতা আনা অনেক কঠিন কাজ বলে স্বীকার করেন নন্দা। তবে এ ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনার বিষয়ে তিনি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
নন্দা বলেন, ‘জেন্ডার সমতা বাস্তবে রূপ দিতে আমরা জাতি হিসেবে, নারী হিসেবে একসঙ্গে কাজ করলে কিছু না কিছু অর্জন হবেই। এ উদ্যোগের বিষয়ে আমার প্রাথমিক লক্ষ্য হচ্ছে অর্থনৈতিক ও সামাজিক মুক্তি, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, কর্মক্ষেত্রে প্রবেশসহ অন্য সুবিধার জন্য নারীদের সুবিধা ও সম্পদ প্রদান করা।’
শিক্ষা, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা, পারিবারিক সহিংসতা এবং মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করবে প্রজেক্ট নাভেলি। ভারতে এই চার ক্ষেত্রেই জেন্ডার অসমতা সবচেয়ে ব্যাপক। বিশেষ করে করোনাভাইরাস মহামারির পর এই অসমতা আরও বেড়েছে।
নন্দা বলেন, ‘দেশের গ্রামাঞ্চলে তৃণমূল পর্যায়ের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমরা কাজ করব। একই সঙ্গে শহুরে নারীরা যেসব সমস্যার মখোমুখি, তা নিয়েও এই প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ করা হবে।’
নন্দা ও তার দল এই মুহূর্তে মাসিক ঋতুস্রাবকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নেয়া নিয়ে কাজ করছে।
নন্দা বলেন, ‘মহারাষ্ট্র রাজ্যে বসবাসরত মাদিয়া/গোন্দ আদিবাসীদের মধ্যে চলে আসা বহু পুরোনো প্রথার বিরুদ্ধে পিরিয়ড-পজিটিভ হোমস কাজ করবে। ঋতুস্রাব অপবিত্র- এ বিশ্বাসের জায়গা থেকে সেখানে ঋতুস্রাব চলাকালে নারীদের কুটিরে পাঠানো হয়। পিরিয়ড-পজিটিভ হোমসে ঋতুকালীন নারীদের স্বাস্থ্যকর, সম্মানিত জীবন কাটাতে সম্পদ ও জ্ঞান বিতরণের মাধ্যমে ক্ষমতায়ন করা হবে।’