প্রায় তিন বছর কারাভোগের পর মুক্তি পেয়েছেন সৌদি আরবের আলোচিত নারী অধিকারকর্মী লুজাইন আল-হাতলুল।
স্থানীয় সময় বুধবার তাকে মুক্তি দেয়া হয় বলে পরিবারের বরাতে জানিয়েছে আল জাজিরা।
লুজাইনের বোন লিনা আল-হাতলুল টুইটবার্তায় বলেন, ‘লুজাইন ঘরে ফিরেছে!’
সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘লুজাইন ঘরে ফিরলেও সে মুক্ত নয়। আমাদের লড়াই শেষ হয়ে যায়নি। সব রাজনৈতিক বন্দির মুক্তি ছাড়া আমি পুরোপুরি খুশি হতে পারছি না।’
লুজাইন সৌদি আরবে মা-বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন জানিয়ে তার আরেক বোন আলিয়া টুইটবার্তায় বলেন, ‘আজকের দিন আমার জীবনে সেরা।’
লুজাইনের মুক্তির বিষয়ে সৌদি কর্তৃপক্ষের তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
সৌদি আরবে নারী চালকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা বাতিলের দাবিতে সোচ্চার লুজাইনকে ২০১৮ সালে বন্দি করা হয়। ওই বছরের ডিসেম্বরে দেশটির আদালত সন্ত্রাসবাদসংশ্লিষ্ট অভিযোগে তাকে প্রায় ছয় বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়, যা নিয়ে সৌদি সরকারের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়।
বিচারপূর্ব আটক ও নির্জন কারাবাসের ১০০১ দিন পার করার পর পরিবর্তনের জন্য আন্দোলন, বিদেশি এজেন্ডা অনুযায়ী কাজ করা, জনশৃঙ্খলা ব্যাহতের উদ্দেশ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারসহ আরও অভিযোগে লুজাইনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
লুজাইনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোকে ‘মিথ্যা’ ও ‘বিচারের নামে প্রহসন’ হিসেবে উল্লেখ করেছিল জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
সৌদি আরবের বিচারক লুজাইনের সাজার কিছু অংশ স্থগিত করায় নির্ধারিত সময়ের আগেই তাকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।
এদিকে লুজাইনের মুক্তির ঘটনাকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
তিনি বলেন, ‘নারী অধিকারের বিষয়ে তিনি (লুজাইন) শক্তিশালী কণ্ঠস্বর। কারাগার থেকে তার মুক্তির সিদ্ধান্ত সঠিক।’