মজুরিতে জেন্ডার বৈষম্য নিয়ে প্রতিবেদন দ্বিতীয় বছরের মতো প্রকাশে ব্যর্থ হলে এ সংকট নিরসনে যুক্তরাজ্যের কয়েক দশকের প্রচেষ্টা ঝুঁকিতে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দেশটির সংসদ সদস্য, ব্যবসায়ী নেতা ও সমতাবিষয়ক সংস্থাগুলো এ সতর্কবার্তা দিয়েছে বলে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
মজুরিতে জেন্ডার বৈষম্য সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ নিয়ে ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে রয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক ব্যবস্থাপনা সংস্থা চার্টার্ড ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের জরিপে দেখা যায়, ২০২১ সালে তিন হাজার ব্যবস্থাপকের ৬৩ শতাংশ কাজ হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছেন।
২০১৭ সাল থেকে মজুরিতে জেন্ডার বৈষম্য সেবা নিয়ে কাজ হচ্ছে যুক্তরাজ্যে। ২০১৯ সালের প্রতিবেদনে দেখা যায়, যুক্তরাজ্যের ১০টির মধ্যে আটটি কোম্পানি নারীদের চেয়ে পুরুষদের বেশি মজুরি দেয়।
তবে ব্যবস্থাপকদের মধ্যে ৩৫ শতাংশ জানান, তাদের কোম্পানিতে মজুরিতে জেন্ডার বৈষম্য নেই।
চার্টার্ড ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী অ্যান ফ্র্যাঙ্কি বলেন, মজুরিতে জেন্ডার বৈষম্যের শর্তগুলো পুনর্বহাল করা খুবই জরুরি।
এদিকে দেশটিতে মজুরিতে জেন্ডার বৈষম্যের প্রতিবেদন জমা দেয়ার পরিসংখ্যান পড়তির দিকে। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে ৭৭৬টি কোম্পানি এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
তার আগের বছর একই সময় প্রতিবেদন জমা দেয় ১ হাজার ৩৭২টি কোম্পানি। ১০ হাজারের বেশি কোম্পানির মধ্যে এ বছর প্রতিবেদন জমা দেয় কেবল ৪৭৪টি।
ফ্র্যাঙ্কি বলেন, ‘প্রতিবেদন বিলম্বের বিষয়ে এই অজুহাত দেখানো হতে পারে যে, ব্যবসা-বাণিজ্য এখন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। কিন্তু মূলত নারী ও সংখ্যালঘুরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।’
মজুরিতে জেন্ডার বৈষম্য হচ্ছে কি না, তা দেখভালের বিষয়টি গত বছরের ২৪ মার্চ স্থগিত করা হয়। যুক্তরাজ্যের নারী ও সমতাবিষয়ক মন্ত্রী লিজ ট্রুস বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে নজিরবিহীন অনিশ্চয়তা ও চাপের মুখে রয়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য।