করোনাভাইরাস মহামারিতে সৃষ্ট জেন্ডার অসমতা মোকাবিলায় ২০টি সুপারিশ করেছে যুক্তরাজ্যের নারী ও সমতা কমিটি।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কমিটির প্রধান ক্যারোলিন নোকস বলেন, করোনায় যুক্তরাজ্য সরকারের সহায়তা প্যাকেজ লাখ লাখ মানুষকে নিরাপত্তাবেষ্টনীতে এনেছে। তবে অন্তঃসত্ত্বা, নতুন মা, স্বনির্ভর নারীসহ অন্য নারীদের ক্ষেত্রে বিদ্যমান জেন্ডার অসমতা আরও বেড়েছে।
সুপারিশে বলা হয়, (চাকরিপ্রত্যাশীদের সহায়তায়) সরকারের শিশুযত্ন নীতি, অসুস্থদের বেতন যোগ্যতা পর্যালোচনা করা উচিত।
সুপারিশে জেন্ডার বেতন বৈষম্য প্রতিবেদন, অন্তঃসত্ত্বা নারী ও নতুন মায়েদের ক্ষেত্রে সুরক্ষা আরও বাড়ানোর বিষয়ও উল্লেখ করা হয়।
কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, অবৈতনিক ছুটি, স্বনির্ভর আয় সহায়তা পরিকল্পনাসহ প্রতিটি নীতির সমতা প্রভাব সরকারের পর্যালোচনা করা উচিত। পাশাপাশি শিল্পকৌশলের ক্ষেত্রে জেন্ডার সমতায় প্রভাবসহ অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে অন্য পরিকল্পনাগুলোও সরকারের পর্যালোচনা করা উচিত।
সুপারিশসহ প্রতিবেদন সংকলনে কমিটিকে সহায়তা করে বেশ কয়েকটি সংস্থা। এদের মধ্যে টিইউসি, ম্যাটারনিটি অ্যাকশন, ন্যাশনাল হেয়ার অ্যান্ড বিউটি ফেডারেশন উল্লেখযোগ্য।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রকাশিত টিইউসির জরিপে দেখা যায়, সম্প্রতি স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যেসব নারী অবৈতনিক ছুটির জন্য আবেদন করেছেন, তাদের ১০ জনের মধ্যে ৭ জনেরও বেশি আবেদন নাকচ করা হয়েছে। লকডাউনের সময় উচ্চমাত্রায় উদ্বেগ ও চাপে ভুগেছে ১০ জনের মধ্যে ৯ জন নারী।
টিইউসির সাধারণ সম্পাদক ফ্রান্সিস ও’গ্র্যাডি বলেন, করোনা নারীদের দুরূহ পরিস্থিতির মুখোমুখি করেছে। তাদের একই সঙ্গে চাকরি ও সন্তান লালনপালন করতে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে পদক্ষেপ না নিলে নারীরা শ্রমবাজারের বাইরে চলে যাবে। এর অর্থ, নারী ও শিশু দারিদ্র্য বাড়বে।