বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জেন্ডার সমতায় মরক্কোর এগিয়ে যাওয়া

  •    
  • ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১০:৪৮

নারীর জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে জেন্ডার সমতা এগিয়ে নেয়া, জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা কমানো এবং আশ্রয় ও আইনি পরামর্শের মাধ্যমে ঝুঁকিতে থাকা নারীদের সহযোগিতায় কাজ করছে মরক্কোর অনেক এনজিও।

জেন্ডার সমতায় গত দুই দশকে উল্লেখযোগ্য কিছু সংস্কার পদক্ষেপ নিয়েছে মরক্কো। তবে এ ক্ষেত্রে দেশটির সরকারের নেয়া উদ্যোগের চেয়ে অধিকারকর্মীদের ভূমিকা বেশি।

স্থানীয় সময় শনিবার মরক্কো ওয়ার্ল্ড নিউজের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

২০১৮ সালে ‘মরক্কো: দ্য লিডার ফর উইমেন্স প্রোগ্রেস ইন মেনা’ শিরোনামে ব্লগে একটি লেখা লেখেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাজনীতিক বেটসি মার্কি। সেখানে মরক্কোতে অবস্থানের সময় নিজের অভিজ্ঞতা ও পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন তিনি।

মার্কি ব্লগে বলেছিলেন, মরক্কোর পার্লামেন্টে নারী প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি জেন্ডার সমতা বাস্তবায়নের পথে অন্যতম সাফল্য। ২০১৭ সালে দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে ২১ শতাংশ আসনে নারীরা প্রতিনিধিত্ব করেন, যেখানে ওই সময় যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে নারী প্রতিনিধিত্বকারী আসন ১৯ শতাংশ। এটি মরক্কোর সাংবিধানিক সংস্কারের প্রতিফলন।

সংস্কারের অংশ হিসেবে ২০০৭ ও ২০১১ সালের মধ্যে মরক্কোর সংসদীয় আসনে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন দ্বিগুণ করা হয়।

তবে ভাষাবিদ ও বিশিষ্ট গবেষক মোহা ইনাজি মনে করেন, সরকারি উদ্যোগের চেয়ে মরক্কোর নারীদের অধিকার আন্দোলন দেশটিতে জেন্ডার সমতা আনতে বড় অবদান রেখেছে।

‘উইমেন, জেন্ডার অ্যান্ড পলিটিকস ইন মরক্কো’ শিরোনামের গবেষণাপত্রে মরক্কোর নারীবাদের অবস্থা ও জেন্ডার সমতা তুলে ধরেন ইনাজি।

তিনি মনে করেন, নারীমুক্তির লক্ষ্যে মরক্কোর রাষ্ট্রীয় নীতি মূলত অভিজাত ও উচ্চ শ্রেণির নারীদেরই উপকৃত করেছে বেশি। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও কর্মসংস্থানে নারীর প্রবেশাধিকার রাষ্ট্রীয় নীতিতে বাড়ানো হলেও নারীর প্রতি নেতিবাচক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে নীতিগুলো উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেনি।

গত দুই দশকে মরক্কোয় নারীদের নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) সংখ্যা দ্রুত বেড়ে যায়। ইনাজির মতে, ‘বাস্তবধর্মিতা ও স্পষ্ট লক্ষ্য’ সামনে রেখে কাজ করা ওই এনজিওগুলো নারীর আর্থসামাজিক অবস্থার দিকে নজর দিয়েছে বেশি।

নারীর জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে জেন্ডার সমতা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা কমানো এবং আশ্রয় ও আইনি পরামর্শের মাধ্যমে ঝুঁকিতে থাকা নারীদের সহযোগিতায় মরক্কোর অনেক এনজিও কাজ করছে।

এমনই এক এনজিও লা ইউনিয়ন ফেমিনিস্তে লিবরে (ইউএফএল)। ২০১৬ সালে মরক্কোয় এ সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা হয়।

জেন্ডার ও যৌনতাকেন্দ্রিক সহিংসতায় বেঁচে যাওয়া ভুক্তভোগীদের আইনি ও মনস্তাত্ত্বিক সহায়তা দেয় ইউএফএল। পাশাপাশি বক্তৃতা, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, বিতর্ক, গ্রুপ থেরাপি, রিডিং সেশন, আত্মরক্ষাবিষয়ক ক্লাসসহ অন্যান্য ওয়ার্কশপেরও আয়োজন করে সংস্থাটি।

এ বিভাগের আরো খবর