বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জেন্ডার সমতায় কৌশল গ্রহণে যুক্তরাজ্যের এফসিডিওকে আহ্বান

  •    
  • ৩১ জানুয়ারি, ২০২১ ১১:৩০

ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা শেষে ২০৩০ সালের মধ্যে নারী-পুরুষ ও ছেলে-মেয়েদের মধ্যে সমান অধিকার ও সুযোগ নিশ্চিতের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে যুক্তরাজ্য সরকারের ডিএফআইডি। প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে বিলুপ্ত করে তাদের কার্যক্রম নিয়ে আসা হয় এফসিডিওর অধীনে।

নারী ও মেয়েদের জীবনমান উন্নয়নে জেন্ডার সমতা নিয়ে প্রয়োজনীয় কৌশল গ্রহণ করতে যুক্তরাজ্য সরকারের ফরেন কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসকে (এফসিডিও) আহ্বান জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।

জেন্ডার সমতা বিষয়ে ২০১৮ সালে গুরুত্বপূর্ণ একটি কৌশল গ্রহণ করেছিল যুক্তরাজ্য সরকারের সে সময়ের বিদেশি সহায়তা পরিচালনা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ডিএফআইডি)।

ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা শেষে ২০৩০ সালের মধ্যে নারী-পুরুষ ও ছেলে-মেয়েদের মধ্যে সমান অধিকার ও সুযোগ নিশ্চিতের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে ডিএফআইডি; প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে বিলুপ্ত করে তাদের কার্যক্রম নিয়ে আসা হয় এফসিডিও এর অধীনে।

ডিএফআইডি বন্ধের জেরে শঙ্কা জাগে, যুক্তরাজ্য সরকার মনে হয় ডিএফআইডির মতো জেন্ডার সমতার বিষয়টিতে তেমন গুরুত্ব দেবে না। যদিও এনজিওগুলোকে বোঝানো হয়েছে লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণে এফসিডিওতেও গুরুত্বপূর্ণ কৌশল গ্রহণ করা হবে।

যুক্তরাজ্যের উন্নয়ন নীতি তদারকি করতে দেশটির পার্লামেন্টের নিম্ন কক্ষের সদস্যদের নিয়ে গঠিত ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কমিটি (আইডিসি) সম্প্রতি জেন্ডার বৈষম্য দূরীকরণে এফসিডিওর পরিকল্পনা জানতে চেয়েছে।

এর জবাবে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব জানান, নারী শিক্ষা নিশ্চিতে সরকারের প্রতিশ্রুতি রয়েছে। এফসিডিও বিশ্বজুড়ে এক কোটি ৪০ লাখ মেয়ে শিশুকে মানসম্পন্ন শিক্ষার আওতায় এনেছে। দুই কোটি মেয়ে শিশুর পড়াশোনায় সহায়তা দিচ্ছে।

রাব আরও জানান, চলতি বছরের শেষ দিকে কেনিয়ার সঙ্গে মিলে বৈশ্বিক শিক্ষা সম্মেলন আয়োজন করবে যুক্তরাজ্য। এ ছাড়া যৌন সহিংসতা রোধে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।

কিন্তু এফসিডিওর এসব কার্যক্রমে সন্তুষ্ট হতে পারেননি আইডিসির প্রধান সারা চ্যাম্পিয়ন। তার মতে, কেবল নারী শিক্ষায় দৃষ্টি দিলেই হবে না। লিঙ্গ বৈষম্য দূর করতে না পারলে অন্যকোনো উদ্যোগ দীর্ঘ মেয়াদে কাজে দেবে না।

এ খাতে যুক্তরাজ্য সরকারের দেয়া সহয়তা কম পরিমাণ ব্যয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন সারাহ চ্যাম্পিয়ন। বলেন, ‘এটা হতাশাজনক যে, ২০১৮ সালে মাত্র শূন্য দশমিক ৩১ শতাংশ সহায়তা ব্যয় করা হয়েছে নারী ও মেয়েদের সহিংসতা দমনের পেছনে। এই বৈষম্য যথাযথভাবে সমাধান না করা গেলে আমার ভয়, সত্যিকারের পরিবর্তন আনাও কঠিন হবে।’

কেয়ার ইন্টারন্যাশনাল ইউকের প্রধান নির্বাহী লরি লি বলেন, ‘জেন্ডার সমতার জন্য নারী শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। তবে নিশ্চিতভাবে জেন্ডার সমতা অর্জনে এটাই যথেষ্ট নয়।’

তার মতে, নারী অধিকার নিশ্চিতে নারীদের যৌন স্বাস্থ্য সুরক্ষা, সহিংসতা, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তির বিষয়গুলোও গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে বিলুপ্ত ডিএফআইডির উদ্যোগগুলো ছিল অধিক কার্যকর।

জেন্ডার সমতা নিশ্চিতে এফসিডিও অঙ্গীকারবদ্ধ বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতিষ্ঠানটির এক মুখপাত্র।

তিনি বলেন, ‘জেন্ডার সমতা দূরীকরণ এবং নারী ও মেয়ে শিশুদের অধিকার নিশ্চিত করা যুক্তরাজ্যের মিশনের আসল উদ্দেশ্য। সেই সঙ্গে প্রত্যেকটা মেয়ের ১২ বছর মেয়াদি শিক্ষাজীবনও নিশ্চিত করতে চায় যুক্তরাজ্য। এই এজেন্ডা বাস্তবায়নে সরকার অনড়।’

এ বিভাগের আরো খবর