শরীরে শরীরে স্পর্শ না লাগলে যৌন হেনস্তা হবে না বলে মত দিয়েছে ভারতের মুম্বাই হাইকোর্ট। আইনও তাই বলছে বলে দাবি বিচারকের।
এক শিশুর স্তনে হাত দেয়ার অপরাধে তিন বছরের সাজা পাওয়া ৩৯ বছর বয়সী এক আসামির আপিল শুনানিতে ‘প্রটেকশন অফ চাইল্ড ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্স বা পকসো আইন-২০১২’ তুলে ধরে আদালত।
ব্যাখ্যায় আদালত জানায়, যৌনতার উদ্দেশ্যে গায়ে গায়ে সরাসরি কোনো সংসর্গ না হলে, যৌনাঙ্গ প্রবেশ না করালে আইন অনুযায়ী যৌন নিপীড়ন হবে না।
হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চের বিচারক পুষ্প গনেড়িওয়ালা জানান, পকসো আইন অনুযায়ী যৌন নিপীড়নের দায়ে কাউকে তিন থেকে পাঁচ বছরের সাজা দিতে হলে ‘আরও অকাট্য ও গুরুতর অভিযোগের প্রয়োজন’।
সংশ্লিষ্ট মামলাটি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘প্রমাণগত দিক থেকে, এটা এমন বিচারিক মামলা নয় যে, আপিল করা আসামি শিশুটির টপ (জামা) সরিয়ে স্তনে হাত দিয়েছে।’
বিষয়টি আরও পরিষ্কার করে পুষ্প গনেড়িওয়ালা বলেন, ‘১২ বছর বয়সী শিশুর স্তনে চাপ দেয়া নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো বর্ণনা নেই। লোকটি টপ সরিয়ে নাকি টপের ভেতরে হাত ঢুকিয়ে স্তনে চাপ দিয়েছে বলা যাচ্ছে না। এটা যৌন নিপীড়নের সংজ্ঞায় পড়ে না।’
তবে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, লোকটির এই অপরাধ শ্লীনতাহানির অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধি ৩৫৪ ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য হতে পারে। সে অনুযায়ী ওই ব্যক্তিকে দণ্ড কমিয়ে এক বছরের জেল দেয়া হয়েছে।