তিন লাখ ৫০ হাজার ইউরো ব্যয়ে শিশুদের জন্য ‘জেন্ডার পরিচয়’ সংবলিত বই প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
জেন্ডার নিয়ে প্রচলিত ধারণা বদলানোর অংশ হিসেবে শিশুদের স্কুল ও লাইব্রেরিতে এসব বই দিতে চান ইইউর কর্মকর্তারা।
বইগুলোর একটিতে এক জোড়া সমকামী ক্যাঙ্গারুর গল্প রয়েছে। তারা দত্তক নেয়া ডিম্বাণু থেকে বাচ্চা ফুটিয়েছে।
আরেকটি বইয়ে একটি ট্রান্সজেন্ডার পাখির গল্প বলা হয়েছে, যে নিজের জীবনের উদ্দেশ্য খোঁজার জন্য ঝাঁকের কঠিন নিয়ম থেকে বেরিয়ে এসেছে।
ইইউর দেয়া এ অর্থ দিয়ে একটি কার্ড গেমও প্রচার করা হবে, যেটিতে ছেলেদের ‘বিলি ইলিয়ট’ চলচ্চিত্রের কেন্দ্রীয় চরিত্রের মতো নৃত্যশিল্পী হতে উৎসাহ দেয়া হয়েছে।
তিন থেকে ১৪ বছরের শিশুদের জন্য জেন্ডার পরিচয়ের বইয়ের একটি তালিকা করছে ইইউ।
নথির বরাত দিয়ে দ্য সানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৭-২০১৯ বছরের জন্য জেন্ডার প্রকল্পে এক লাখ ৭০ হাজার ইউরো ব্যয় করা হয়। চলতি ও পরবর্তী বছরে প্রকল্পের কাজে আরও এক লাখ ৮০ হাজার ইউরো ব্যয় করা হবে।
ইইউর এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন জোটের জার্মান সদস্য নিকোলাউস ফেস্ট। তার ভাষ্য, ইইউ নজিরবিহীন স্বাস্থ্য সংকটে ভুগছে। এ ছাড়া জোটভুক্ত দেশগুলোতে বেকারত্ব ও ঋণের বোঝা বাড়ছে।
তিনি ব্যঙ্গ করে বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, ইউরোপীয় জনগণ তাদের অর্থ গে ক্যাঙ্গারুর গল্প সংবলিত শিশুদের বইয়ের প্রচারের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ব্যয় করা হচ্ছে জেনে খুশি হবেন।
‘এ ধরনের কাজ সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছ থেকে আশা করা যায়; ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছ থেকে নয়।’
তিনি বলেন, শিশুদের তাদের মতো করে থাকতে দেয়া উচিত। দার্শনিক প্রশ্নগুলো তাদের জন্য নয়।
এ অর্থ ইইউভুক্ত দেশগুলোর বিভিন্ন জায়গায় পরিচালিত সাংস্কৃতিক পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করা ক্রিয়েটিভ ইউরোপিয়ান ফান্ড থেকে দেয়া হচ্ছে।
ওই অর্থ ইউরোপ মহাদেশের বিভিন্ন জায়গায় নির্বাচিত বইগুলো পরিবহন ও ছয়টি পাবলিক লাইব্রেরিতে জেন্ডার পরিচয়ের আলাদা বিভাগ তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়েছে।
চলতি ও পরবর্তী বছরে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং রচনা প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্যেও এ অর্থ ব্যয় করা হবে।