ধর্ষণের শিকার নারীর সতীত্ব পরীক্ষার নিয়মকে বেআইনি ঘোষণা করেছে পাকিস্তানের আদালত। একই সঙ্গে যৌন সহিংসতা সংক্রান্ত মামলায় সতীত্ব পরীক্ষা বন্ধে কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সরকারকেও আদেশ দেয়া হয়েছে।
সোমবার পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
এদিন এক আদেশে লাহোরের উচ্চ আদালত বলেছে, ‘সতীত্ব পরীক্ষা ধর্ষণের শিকার নারীর জন্য অবমাননাকর। এটি সংবিধান বিরোধী ও অবৈধ।’
আদালত আরও বলেছে, ‘যৌন সহিংসতা সংক্রান্ত মামলায় এ ধরনের পরীক্ষা অপ্রয়োজনীয়।’
দীর্ঘ দিন ধরে পাকিস্তানে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের মামলায় সতীত্ব পরীক্ষার নিয়ম চলে আসছিল। দেশটির নারীরা এর প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিলেন।
লাহোর হাইকোর্টের বিচারক আয়েশা মালিক বলেন, ‘সতীত্ব পরীক্ষা খুবই আক্রমণাত্মক। এর কোনো বৈজ্ঞানিক বা স্বাস্থ্যগত ভিত্তি নেই। যৌন সহিংসতার মামলায় স্বাস্থ্যগত পরীক্ষার নামে এই অনিয়ম চলে আসছিল।’
তিনি বলেন, ‘এটি খুবই অবমাননাকর। ধর্ষণের শিকার নারীকেই দোষ দিয়ে অপরাধীকে আড়াল করে ফেলা হয়।’
২০১৮ সালে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এখনও ২০টি দেশে সতীত্ব পরীক্ষার নিয়ম রয়েছে।