বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানমের মৃত্যু

  •    
  • ২ জানুয়ারি, ২০২১ ১০:১২

আয়শা দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুস ক্যানসারে ভুগছিলেন। রাত তিনটার দিকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। ভোরে তার মৃত্যু হয়।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম আর নেই। তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর।

রাজধানীর ধানমন্ডিতে নিজ বাসায় শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

মহিলা পরিষদের আন্তর্জাতিক উপ-পরিষদের সদস্য লুনা নূর নিউজবাংলাকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

তিনি জানান, আয়শা দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুস ক্যানসারে ভুগছিলেন। রাত তিনটার দিকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। ভোরে তার মৃত্যু হয়।

লুনা জানান, সকালে আয়শার মরদেহ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নেয়া হয়। সেখানে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানান সহকর্মীসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

শ্রদ্ধা জানানো শেষে আয়শাকে গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনায় নেয়া হচ্ছে। সেখানে তাকে সমাহিত করা হবে।

এদিকে আয়শা খানমের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই নারী নেত্রীর মৃত্যুতে দেশের নারী সমাজ এক জন অকৃত্রিম বন্ধু ও সাহসী সহযোদ্ধাকে হারাল।

প্রধানমন্ত্রী মরহুমার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

এক শোকবার্তায় দীপু মনি বলেন, ‘আয়শা খানম ছিলেন বাংলাদেশে প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক আন্দোলনের একজন পুরোধা ব্যক্তিত্ব এবং ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন এবং একাত্তরের অসহযোগ আন্দোলনসহ স্বাধীনতা যুদ্ধের পথে এগিয়ে যেতে যেসব আন্দোলন-সংগ্রাম সংঘটিত হয়েছিল, সেগুলোতেই তিনি সামনের সারিতে ছিলেন।

‘তা ছাড়া বাংলাদেশে নারী অধিকার রক্ষা ও নারীর প্রতি সব রকমের সহিংসতা প্রতিরোধে সর্বদা তিনি সোচ্চার ছিলেন।’

১৯৪৭ সালে নেত্রকোনার গাবড়াগাতিতে জন্ম নেন আয়শা খানম। ১৯৬২ সালে পূর্ব পাকিস্তানে হামুদুর রহমান শিক্ষা কমিশন বাতিলের দাবিতে ছাত্র আন্দোলনে যুক্ত হন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় ছিলেন রোকেয়া হল ছাত্র সংসদের সহসভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তৎকালীন ছাত্র ইউনিয়নের সহসভাপতি হিসেবে শিক্ষার্থীদের সংগঠিত করতে নামেন আয়শা। তিনি নেতৃত্ব দেন নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে ডামি রাইফেল হাতে মিছিলের।

স্বাধীনতার পর মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকারদের নির্যাতনের শিকার নারীদের পুনর্বাসনে কাজ শুরু করেন আয়শা।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এই নারী নেত্রী। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সংগঠনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর