করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে ৯০০ বিলিয়ন ডলারের একটি প্রণোদনা বিল পাস করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস। ট্রাম্প সই করলে এটি আইন হবে। সে বিলে পাকিস্তানের ‘গণতন্ত্র কর্মসূচি’ ও ‘জেন্ডার কর্মসূচিতে’ বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
ফক্স নিউজের প্রতিবেদনে জানানো হয়, পাকিস্তানের গণতন্ত্র কর্মসূচির জন্য দেড় কোটি ডলার ও জেন্ডার কর্মসূচির জন্য ১ কোটি ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছে প্রণোদনা বিলে।
এমন কর্মসূচি নেয়ায় যুক্তরাষ্ট্রে দুটি পক্ষ দাঁড়িয়ে গেছে। একটি পক্ষের কিছু টুইটার ব্যবহারকারী মহামারির সময়ে এমন উদ্দেশ্যে সহায়তা তহবিল ব্যবহারের বিষয়টিতে হতাশা প্রকাশ করেছেন।
তারা বলছেন, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের পরিস্থিতিই খারাপ হয়েছে, সেখানে পাকিস্তানকে এমন খাতে সহায়তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়।
সোমবার রাতে প্রণোদনা বিলটি পাস করে কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ। ধারণা করা হয়েছিল, ট্রাম্প এতে সই করবেন।
তিনি সই না করে বরং বিলটি সংশোধন করে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বাদ দেয়ার আহ্বান জানান আইনপ্রণেতাদের।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে টুইটারে এক ভিডিওবার্তায় ওই বিল থেকে ‘অপব্যয়ী ও অপ্রয়োজনীয় অংশ’ বাদ দিতে আইনপ্রণেতাদের বলেন ট্রাম্প। একই সঙ্গে প্যাকেজটিকে ‘অসম্মানজনক’ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
ট্রাম্প বলেন, ‘একে বলা হচ্ছে কোভিড ত্রাণ বিল। অথচ এর সঙ্গে কোভিডের প্রায় কোনো সম্পর্কই নেই।’
বিলে পাকিস্তানে ‘জেন্ডার কর্মসূচি’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে, সে সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি।
জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের মতে, পাকিস্তানের উন্নয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান জেন্ডার সমতা।
যুক্তরাষ্ট্রের উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডির ওয়েবসাইটে বলা হয়, পাকিস্তানের সঙ্গে সংস্থাটি অর্থনৈতিক পরিসরে নারীদের প্রবেশাধিকার, শিক্ষায় মেয়েদের প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি, মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যের উন্নতি, জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা মোকাবিলা ও নারীর রাজনৈতিক অংশগ্রহণ বাড়াতে কাজ করছে।
বৈশ্বিক জেন্ডার সমতায় পাকিস্তানের অবস্থান বিশ্বে নিচের দিক থেকে দ্বিতীয়।