যুক্তরাষ্ট্রের বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাণ ও স্বচ্ছ জ্বালানি কোম্পানি টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে জেন্ডার সর্বনাম নিয়ে অসংবেদনশীল মন্তব্য করার অভিযোগ করেছে একটি বেসরকারি সংস্থা।
এ ঘটনায় মাস্ককে ক্ষমা চাইতে বলেছে এলজিবিটিকিউ কমিউনিটি নিয়ে কাজ করা হিউম্যান রাইটস ক্যাম্পেইন (এইচআরসি)।
সংস্থাটির দাবি, জেন্ডার সর্বনাম নিয়ে মাস্কের ওই মন্তব্য বিদ্রুপাত্মক।
চলতি বছর এইচআরসির করপোরেট সমতা সূচকে (সিইআই) টেসলা শীর্ষে ছিল। সংস্থাটি (এইচআরসি) তাদের এলজিবিটিকিউ বৈষম্যহীনতা নীতি দিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মক্ষেত্র বিচার করে।
গত সোমবার মাস্ক তার এক টুইটে এক সৈনিকের রক্তমাখা হাত দিয়ে মুখ ঘষার একটি ছবি শেয়ার করেন।
ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘যখন আপনি আপনার বায়োতে সে/তার (হি/হিম) লেখেন।’।
এ মন্তব্যের মাধ্যমে মাস্ক তাদের দিকে ইঙ্গিত করেছেন, যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বায়োতে সর্বনাম ব্যবহার করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি গণমাধ্যম নজরদারি প্রতিষ্ঠান গ্ল্যাড (জিএলএএডি) বলেছে, বায়োতে সর্বনামের ব্যবহার ট্রান্স-অনুকূল সামাজিক মাধ্যম তৈরিতে সহায়তা করবে।
বিজনেস ইনসাইডারের প্রতিবেদনে বলা হয়, মাস্কের বিরুদ্ধে ট্রান্সফোবিয়ার অভিযোগ এনে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে টেসলা সিইও আরেক টুইটে বলেন, ‘আমি ট্রান্সদের সবসময় সমর্থন করি। তবে এ সকল সর্বনাম নান্দনিকতার বিচারে দুঃস্বপ্নের মতো।’
মাস্ক একই সঙ্গে ২০১৭ সালে টেসলার টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে এইচআরসি’র সিইআই সূচকের একটি লিংক যোগ করা একটি টুইট শেয়ার করেন। ওই টুইটে তিনি বলেছিলেন, তার কোম্পানি সূচকের স্কোর নিয়ে ‘গর্বিত’। এলজিবিটিকিউ অন্তর্ভুক্তিকরণ তাদের কর্মসংস্কৃতির ‘গুরুত্বপূর্ণ অংশ’।
তবে মাস্কের এতসব মন্তব্যও মন গলাতে পারেনি এইচআরসির।
সংস্থাটির সভাপতি অ্যালফনসো ডেভিড বলেন, ‘নেতিবাচক ব্যক্তিগত আচরণ করে সিইআইকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। ‘মাস্কের উচিত ক্ষমা চাওয়া।’
ইলন মাস্কের এমন টুইটের কারণে প্রতিষ্ঠানটির পয়েন্ট কাটা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন এইচআরসির সাবেক প্রেস সেক্রেটারি।