জেন্ডার সমতার ক্ষেত্রে আরও জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা চেয়ে ব্রিটিশ সরকারের কাছে একটি খোলা চিঠি পাঠিয়েছেন জলবায়ু নিয়ে কাজ করা শীর্ষস্থানীয় চার শতাধিক নারী।
প্যারিস জলবায়ু সম্মেলনের পাঁচ বছর পূর্তি উপলক্ষে তারা এ চিঠিটি পাঠান।
চিঠিতে স্বাক্ষরকারীরা জাতিসংঘের ২৬তম জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নেবেন।
ওই চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন প্যারিস চুক্তির সহলেখক লরেন্স টুবিয়ানা, আয়ারল্যান্ডের সাবেক প্রেসিডেন্ট মেরি রবিনসন, অর্থনীতিবিদ কেট রাওর্থ, পরিবেশবিষয়ক আইনজীবী ফারহানা ইয়ামিন ও ন্যাশনাল জিয়োগ্রাফিক এক্সপ্লোরার সিলভিয়া আরলি।
চলতি বছরের নভেম্বরে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক শীর্ষ সম্মেলন কপটোয়েন্টিসিক্সের আগে চালু হয়েছিল শিচেঞ্জেসক্লাইমেট শীর্ষক ক্যাম্পেইনটি। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে আন্তর্জাতিক এ পরিবেশবিষয়ক আলোচনা ২০২১ সাল পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।
সেপ্টেম্বরে যুক্তরাজ্য ঘোষণা দিয়েছিল, জলবায়ু সম্মেলন পরিচালনার জন্য তারা পুরুষ সংখ্যাগরিষ্ঠ একটি দল তৈরি করছে। শিচেঞ্জেসক্লাইমেটের আয়োজকরা কপটোয়েন্টিসিক্সে নারীদের সমান অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে আসছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, কপটোয়েন্টিসিক্সে সিদ্ধান্ত ও আলোচনায় নারীদের অংশগ্রহণ সাফল্যের সম্ভাবনা বাড়াবে এবং স্বচ্ছতর সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করবে।
এ বিষয়ে বর্ন ফ্রি ফাউন্ডেশনের ইয়ুথ অ্যাম্বাসেডর বেলা ল্যাক বলেন, ‘প্রকৃতির দিকে তাকিয়ে একে রক্ষার প্রেরণা আমি নারী ও মেয়েদের কাছ থেকেই পাই। পৃথিবীকে রক্ষার জন্য আমাদের সেই সুরক্ষামূলক আচরণকে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।’
ওই খোলা চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, গত বছর কপটোয়েন্টিফাইভে যুক্তরাজ্য সরকার জেন্ডার অ্যাকশন প্ল্যানে (জিএপি) স্বাক্ষর করে। এতে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় নারীদের অন্তর্ভুক্তি এবং জেন্ডার সমতার গুরুত্বের ওপর জোর দেয়া হয়েছে।
ইউরোনিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, জিএপির এক গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে নারী ও মেয়েরা তুলনামূলকভাবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। পাশাপাশি পরিবার ও সম্প্রদায়ে তাদের ভূমিকা সংকটাপন্ন।
জাতিসংঘের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুহারা মানুষের ৮০ শতাংশই নারী। তাদের সম্পদ ও মানবাধিকার খর্ব হচ্ছে।
কপটোয়েন্টিসিক্সের স্থগিত সভা আগামী বছরের নভেম্বরে স্কটল্যান্ডের রাজধানী গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত হবে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সমন্বিত পদক্ষেপে একমত হতে সভায় বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধান, জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ও প্রচারকারীদের একত্রিত করা হবে।