বিশ্বের শীর্ষ ধনী জেফ বেজোসের মহাকাশ সংস্থা ‘ব্লু অরিজিন’ চন্দ্রপৃষ্ঠে প্রথম নারী নভোচারী পাঠাবে।
শুক্রবার বিষয়টি জানিয়েছেন এ ধনকুবের।
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা ২০২৪ সালের মধ্যে প্রথমবারের মতো ব্যক্তিগতভাবে চাঁদে নভোচারী পাঠানোয় সক্ষম লুনার ল্যান্ডার বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত নেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বেজোস এ কথা জানান।
আলাবামার হান্টসভিলে নাসা মার্শাল স্পেস ফ্লাইট সেন্টারে চলতি সপ্তাহে ইঞ্জিন পরীক্ষার একটি ভিডিওসহ ইনস্টাগ্রাম পোস্টে বেজোস লেখেন, ‘এটিই (বিই-সেভেন) সেই ইঞ্জিন যেটি চন্দ্রপৃষ্ঠে প্রথম নারী নিয়ে যাবে।’
কয়েক বছর ধরেই ব্লু অরিজিন বিই-সেভেন ইঞ্জিন তৈরির কাজ করে যাচ্ছে। ইঞ্জিনের পরীক্ষার সময় এক হাজার ২৪৫ সেকেন্ড পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে এটি ব্লু অরিজিনের ন্যাশনাল টিম হিউম্যান ল্যান্ডিং সিস্টেম লুনার ল্যান্ডারকে শক্তি জোগাবে।
ব্লু অরিজিন তাদের ব্লু মুন ল্যান্ডার নির্মাণে সহায়তার জন্য ২০১৯ সালে প্রধান সংস্থা হিসেবে একটি ‘জাতীয় দলের’ নেতৃত্ব দেয়। এ দলের সদস্য অন্য কোম্পানিগুলো হলো লকহিড মার্টিন করপোরেশন, নর্থরোপ গ্রুম্যান করপোরেশন ও অলাভজনক গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা ড্রেইপার।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নাসার চাঁদের মানুষ পাঠানোর প্রকল্পসহ সরকারি বিভিন্ন কাজ পেতে ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স ও লিডিয়স হোল্ডিংসের মালিকানাধীন ডায়নেটিক্সের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করেছে ‘ব্লু অরিজিন’।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের এপ্রিলে লুনার ল্যান্ডার উন্নয়নের জন্য ব্লু অরিজিনের সঙ্গে ৫৭ কোটি ৯০ লাখ ডলার মূল্যের চুক্তি করে নাসা। এ ছাড়া নাসা স্টারশিপ সিস্টেমের উন্নয়নের জন্য ১৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার মূল্যের চুক্তি করে স্পেসএক্সের সঙ্গে। সংস্থাটি ২৫ কোটি ৩০ লাখ ডলারের আরেকটি চুক্তি করে ডায়নেটিক্সের সঙ্গে।
নাসার এক মুখপাত্র জানান, ২০২৪ সালের শুরু থেকে চাঁদে ক্রু মিশনের জন্য ল্যান্ডার প্রোটোটাইপ তৈরিতে ২০২১ সালের মার্চের শুরুতে তিনটি সংস্থার মধ্যে দুটিকে বেছে নেবে সংস্থাটি।
তবে অবতরণ ব্যবস্থার জন্য কংগ্রেস থেকে নাসাকে খুবই সামান্য অর্থ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে মহাকাশ অনুসন্ধানে বাইডেন প্রশাসনের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কেও রয়েছে অনিশ্চয়তা। এসব কারণে লুনার ল্যান্ডার চুক্তি এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে নাসার সিদ্ধান্ত বিলম্বিত হওয়ার ঝুঁকিতে আছে।