বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এনএইচএসের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ ট্রান্সজেন্ডার কিশোরের

  •    
  • ২৩ নভেম্বর, ২০২০ ১৩:১৫

ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা কিশোর নিজেকে রিস নামে পরিচয় করায়। সে বিবিসিকে জানায়, আদর্শিক জায়গা থেকে না চাইলেও ট্রান্স তরুণদের পক্ষে কেউ না থাকায় তাকে এই পদক্ষেপ নিতে হয়েছে।

ইংল্যান্ডে জেন্ডার সংক্রান্ত চিকিৎসার জন্য ক্লিনিকে পাঠাতে দেরি করায় ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের (এনএইচএস) বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে ১৪ বছরের এক কিশোর।

শিশু-কিশোরদের জন্য এনএইচএসের একমাত্র জেন্ডার ক্লিনিকে চিকিৎসার নির্দেশনা পেতে ওই কিশোর এক বছরের বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করছে।

আইনি সংস্থা ‘গুড ল প্রজেক্ট’ কিশোরটির হয়ে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছে। সংস্থাটি জানায়, ১৮ সপ্তাহের মধ্যে রোগীদের বিশেষ সেবা দেয়ার বাধ্যবাধকতা আছে এনএইচএসের। তা না করতে পারলে বিকল্প ব্যবস্থা নিতে হবে স্বাস্থ্য সেবা সংস্থাটিকে।

এনএইচএস ইংল্যান্ড বলছে, ঘটনাটির পর্যালোচনা চলছে।

এর আগে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে তরুণদের জেন্ডার পরিচয় পরিষেবার বিষয়ে স্বতন্ত্র পর্যালোচনার ঘোষণা দিয়েছিল এনএইচএস।

এনএইচএস ইংল্যান্ডের এক মুখপাত্র জানান, কখন, কীভাবে শিশু ও তরুণদের বিশেষায়িত সেবার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, সেটিও পর্যালোচনার অন্তর্ভুক্ত।

মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা ‘টাভিস্টক অ্যান্ড পোর্টম্যান এনএইচএস ট্রাস্ট’ পরিচালিত জেন্ডার-পরিচিতি উন্নয়ন সেবার (জিআইডিএস) বিরুদ্ধে এর আগেও ট্রান্স-তরুণদের চিকিৎসা দেয়ার ক্ষেত্রে ‘ভীষণ কষ্টদায়ক’ অপেক্ষা করানোর অভিযোগ আছে।

ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা কিশোর নিজেকে রিস নামে পরিচয় করায়। সে বিবিসিকে জানায়, আদর্শিক জায়গা থেকে না চাইলেও ট্রান্স তরুণদের পক্ষে কেউ না থাকায় তাকে এই পদক্ষেপ নিতে হয়েছে।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে থাকার সময় ওই কিশোর তার ট্রান্স পরিচয় সম্পর্কে জানতে পারে। তার পরিবার, বন্ধু ও শিক্ষকরা সবসময়ই তার রূপান্তরের সিদ্ধান্তের পক্ষে ছিলেন।

মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ওঠার পর নিজের দেয়া নাম অনুযায়ী সবাই তাকে ছেলে হিসেবেই জেনে এসেছে।

ওই কিশোর জানায়, ব্যয়বহুল বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবার মাধ্যমেই তিনি তার জেন্ডার রূপান্তর করতে পারতেন। তিনি তার চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে ২০১৯ সালের অক্টোবরে জিআইডিএসে চিকিৎসার আবেদন করেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত এনএইচএস বিশেষজ্ঞরা কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি তাকে।

কিশোরটি বলে, ‘যাদের জন্য এই সেবা তারাই বঞ্চিত হচ্ছে। বিষয়টি উদ্বেগজনক।’

টাভিস্টক ট্রাস্টের জিআইডিএস বর্তমানে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে যাদের আবেদন নেয়া হয়েছিল, তাদের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নির্ধারণ করছে।

অনেকেই এনএইচএসের সময় নেয়ার পক্ষে থাকলেও ওই কিশোর বলে, ‘অপেক্ষা করতে করতে আমি দিশাহারা হয়ে পড়েছি।

সে আরও বলে, ‘কেউ ট্রান্স কি না সেটা বুঝতে সমস্যা হলে তার সমাধান এটা নয় যে তাদের সংবেদনশীল অবস্থায় একা রাখতে হবে। পেশাদার কারো সাহায্য ছাড়া তারা সেটা বুঝতে পারবে না।’

গুড ল’ প্রজেক্টের ব্যবস্থাপক ও ওই কিশোরের প্রতিনিধিত্বকারী জলিয়ন মম বলেন, ‘এনএইচএসের জেন্ডার ক্লিনিকে সেবা পেতে দেরি হচ্ছে। এ কারণে সংস্থাটির উচিত, তাদের আইনি বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী বিকল্প ব্যবস্থা নেয়া।’

তিনি আরও বলেন, ‘বয়ঃসন্ধিকাল চলে গেলে অনেকের পক্ষেই জেন্ডার পরিবর্তন কঠিন হয়ে যায়, যার ফলে অনেকের চিকিৎসা নেয়ার প্রয়োজন শেষ হয়ে যায়। এভাবে চলতে পারে না।’

এনএইচএস ইংল্যান্ডের এক মুখপাত্র বলেন, ‘টাভিস্টক জেন্ডার পরিচিতি সেবায় শিশু ও তরুণদের রেফারের সংখ্যা ২০১৩ সালের তুলনায় বর্তমানে ৫০০ শতাংশ বেড়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কখন ও কীভাবে শিশু ও তরুণরা বিশেষ সেবা পেতে পারে, সে বিষয়ে স্বাধীন পর্যবেক্ষণ করতে এরই মধ্যে ডা. ক্যাসকে নির্দেশনা দিয়েছে এনএইচএস।’

এ বিভাগের আরো খবর