যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে গাড়িচালকদের লাইসেন্স দেয়ার ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের পাশাপাশি জেন্ডার নিরপেক্ষ ‘এক্স’ অপশন ব্যবহারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে লাগতে পারে এক বছরের বেশি সময়।
আদালতে জমা দেয়া নথিপত্রে এসব তথ্য জানিয়েছেন অঙ্গরাজ্যটির কর্মকর্তারা।
তাদের বরাত দিয়ে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার এনবিসিনিউইয়র্কের খবরে জানানো হয়, এক বছরের মধ্যে মোটরযান বিভাগ ডিএমভির কম্পিউটারগুলোতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অপশনটি যুক্ত করা হবে।
নিউ ইয়র্ক কর্তৃপক্ষের এমন পরিকল্পনাটি এসেছে স্যান্ডার সাবা নামের এক ট্রান্সজেন্ডারের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে। তিনি অঙ্গরাজ্যটিতে ড্রাইভিং লাইসেন্সে জেন্ডার পরিচিতি ‘নারী’ ও ‘পুরুষ’ এর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার নীতি পরিবর্তনের আবেদন জানান।
সাবার পক্ষে ফেডারেল আদালতে মামলাটি করে ‘ল্যাম্বডা লিগ্যাল’ নামের একটি নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ সংস্থা। মামলায় বলা হয়, শুধু দুই জেন্ডার পরিচয়ে লাইসেন্স দেয়ার নীতিটি বৈষম্যমূলক।
নিউ ইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো ও ডিএমভি কমিশনারের বিরুদ্ধে করা এই মামলাকে বিতর্কিত উল্লেখ করে তা বাতিলে সম্প্রতি তোড়জোড় শুরু হয়।
অঙ্গরাজ্যটির পক্ষের আইনজীবীরা আদালতে জানান, পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ডিএমভির কম্পিউটার সিস্টেমকে পরিবর্তন করতে হবে। লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে যাতে অভ্যন্তরীণভাবে পক্ষপাতহীন জেন্ডার নির্ধারণ সূচি তৈরি করা যায়, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
ডিএমভির উপকমিশনার গ্রেগরি ক্লাইন আদালতে জানান, সংস্থাটি প্রত্যাশা করছে, ২০২১ সালের শেষের দিকেই পরিকল্পনা সফলতার মুখ দেখবে।
ল্যাম্বডা লিগ্যালের আইনজীবী কার্ল চার্লস কর্মকর্তাদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘নিউইয়র্কের আরও অনেক কিছু করতে হবে।’
চার্লস আরও বলেন, ‘যেদিন একজন ব্যক্তির পরিচয়ের নথি অস্বীকার করা হয়, সেদিনই তার সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ণ করা হয়। এতে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সাবার পক্ষে আমাদের এই মামলা চালিয়ে যাব যাতে নিউ ইয়র্কের নন-বাইনারি সব বাসিন্দার যথাযথ রাষ্ট্রীয় পরিচয় পেতে দেরি না হয়।’
ডিএমভির এক মুখপাত্র জানান, ট্রান্সজেন্ডার বা নিশ্চিত জেন্ডার পরিচয়হীন নাগরিকদের অধিকার সংরক্ষণ এবং উন্নয়নের জন্য নিউইয়র্ক কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।