অনলাইনে বিভিন্নভাবে হয়রানি ও হুমকির শিকার হয়ে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোর ব্যবহার ছেড়ে দিচ্ছে মেয়েরা। তাদের অন্তত ৬০ শতাংশই হয়রানির শিকার।
বেসরকারি সংস্থা প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের এক বৈশ্বিক জরিপ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
রোববার প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, প্রতি পাঁচ মেয়ে ও তরুণীর একজন হয়রানির শিকার হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছেড়ে দিয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী অ্যান-ব্রিগেট অ্যালব্রেকটসেন বলেন, ‘চরম মাত্রার হয়রানির মাধ্যমে মেয়েদের চুপ করিয়ে দেয়া হচ্ছে।’
জরিপে দেখা যায়, ফেসবুকে সবচেয়ে বেশি হয়রানির ঘটনা ঘটে। ৩৯ শতাংশ মেয়ে ও তরুণী ফেসবুকে হেনস্তার শিকার হয়। ইনস্টাগ্রামে হয়রানির শিকার হয় ২৩ শতাংশ। এ ছাড়া হোয়াটসঅ্যাপে ১৮, স্নাপচ্যাটে ১০, টুইটারে ৯ ও টিকটকে ৬ শতাংশ হয়রানির ঘটনা ঘটেছে।
করোনাভাইরাস মহামারিতে অনলাইনে যোগাযোগের গুরুত্ব বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে হেনস্তার সংখ্যাও বাড়তে থাকে।
গবেষণাটিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে এই সমস্যা মোকাবিলায় জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। পাশাপাশি অনলাইন হয়রানি মোকাবিলায় সরকারগুলোকে আইন পাস করার কথাও বলা হয়।
ব্রাজিল, ভারত, নাইজেরিয়া, স্পেন, থাইল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রসহ ২২টি দেশের ১৫ থেকে ২৫ বছর বয়সী ১৪ হাজার মেয়ে ও তরুণীর ওপর জরিপটি চালায় প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল।
জরিপে অংশগ্রহণকারী প্রায় অর্ধেক মেয়ে শারীরিক বা যৌন সহিংসতার হুমকি পেয়েছে।
তারা ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক ও টুইটারকে দেয়া খোলা চিঠিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে হেনস্তার ঘটনা জানানোর আরও কার্যকর উপায় উদ্ভাবনের আহ্বান জানিয়েছে।
নারী ও মেয়েরা জানান, বন্ধুদের সঙ্গে শুধু যোগাযোগ নয়; নেতৃত্বদান, পরিবর্তনের জন্যও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করা হয়। কিন্তু মাধ্যমগুলো তাদের জন্য নিরাপদ নয়।
সূত্র: রয়টার্স, হিন্দুস্তান টাইমস