করোনাভাইরাস মহামারীতে বিশ্বব্যাপী নারীদের সামাজিক নিরাপত্তা, কর্মক্ষেত্রে তাদের অবস্থানসহ বিভিন্ন বিষয় পরিমাপে ইউএনডিপি ও ইউএন উইমেন চালু করেছে জেন্ডার রেসপন্স ট্র্যাকার।
এই ট্র্যাকারের মাধ্যমে দুই হাজার ৫০০টিরও বেশি পরিমাপকে বিশ্বের ২০৬টি দেশ ও অঞ্চলের তথ্য সংগ্রহ করেছে জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থা দুটি।
প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্বের খুব কম রাষ্ট্রই জেন্ডার সংবেদনশীল।
২৮ সেপ্টেম্বর তথ্য-উপাত্তগুলো প্রকাশ করে ইউএনডিপি ও ইউএন উইমেন। তাদের উপাত্ত অনুযায়ী, শুধু ২৫টি দেশ (ট্র্যাকিংয়ের অধীন অঞ্চলের ১২ শতাংশ) মহামারীতে নারীর সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংকট নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে। ৪২টি দেশ (২০ শতাংশ) বৈষম্য কমাতে কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি।
ট্র্যাকারের উপাত্ত বিশ্লেষণে মূলত সরকারের নেয়া তিনটি পদক্ষেপে জোর দেয়া হয়েছে। এগুলো হলো নারীর প্রতি সহিংসতা মোকাবিলা, বিনামূল্যে সেবা ও নারীর অর্থনৈতিক সুরক্ষা জোরদারে ভূমিকা।
এ ছাড়া হেল্পলাইন চালু, আশ্রয়, মহামারীতে নারীর প্রতি সহিংসতা কমাতে বিচার বিভাগীয় পদক্ষেপ, নির্দিষ্ট নারীদের নগদ অর্থ সরবরাহ, শিশুদের সেবার ব্যবস্থা, পরিবারকে আর্থিক সহায়তা ও অসুস্থতাজনিত ছুটির বিষয়গুলোও দেখা হয়েছে।
এ বিষয়ে ইউএন উইমেনের নির্বাহী পরিচালক ফামজিল মেলাম্বো-নগচুকা বলেন, করোনা নারীদের ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ফেলেছে। পারিবারিক সহিংসতার শিকার নারীরা লকডাউনে নিপীড়কদের সঙ্গেই থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রেও সুরক্ষা পাচ্ছেন না তারা।
তিনি আরও বলেন, বৈশ্বিক এ ট্র্যাকার নারীর প্রতি সহিংসতা নিরসনে সরকারগুলোকে সঠিক নীতিমালা প্রণয়ন ও পদক্ষেপ নিতে সহায়তা করবে।
সূত্র: ইউএনডিপি